বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘কেটে নেওয়া’ হল যুবকের জিভ! অভিযুক্ত দুই মহিলা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?

০৪:২২ পিএম, ডিসেম্বর ৭, ২০২১

‘কেটে নেওয়া’ হল যুবকের জিভ! অভিযুক্ত দুই মহিলা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তন্ত্রসাধনার জন্যই কি কেটে নেওয়া হল যুবকের জিভ? এমনটাই উঠে আসছে প্রাথমিক তদন্তে। এক যুবকের জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই মহিলার বিরুদ্ধে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা গ্রামে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, জখম যুবকের নাম শমাই সরেন। বয়স কুড়ি বছর। সোমবার রাতে ৮ টা নাগাদ শমাই এবং তাঁর বন্ধু মুকুল মুর্মু পাশেই পাকু টুডুর বাড়িতে মদ্যপান করার জন্য গিয়েছিলেন। মাঝে কিছুক্ষণের জন্য শৌচালয়ে যান মুকুল। সেইসময় মদ্যপানের আসরে কোনও এক বিষয় নিয়ে তর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। তখনই ধৃত মহিলা পাকু টুডু ও তাঁর মেয়ে শমাই সরেনের জিভ কেটে নেয় বলে অভিযোগ। এদিকে, শৌচালয় থেকে ফিরে মুকুলই কোনওরকমে শমাইকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যায়।

এই ঘটনা সম্পর্কে সে জানিয়েছে যে, ‘কোনদিন আমাদের মদ খেতে ডাকেনি। কালকেই ডেকেছিল। ওরাই টাকা দিয়েছিল মদ আনার জন্য। মদ খেতে খেতে একসময় আমি বাইরে বাথরুম করতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি শমাই-এর বুকের উপর চেপে ওর জিভ কাটছে। কোনমতেই ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাইরে পালিয়ে যাই।’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই বাড়ির মহিলা পাকু টুডু এবং তার মেয়ে ওই যুবকের জিভ কেটেছে।

অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা কমল সোরেন অভিযোগ করেন, ‘পাকুর টুডু বয়স ৫০ এর মত, ও তান্ত্রিকের কাজ করে। ওই সবের জন্যই ও জিভ কেটেছে। চিবিয়ে খেয়েও নিয়েছে। আবার ওদের ঘরের মন্দিরের মধ্যে কেটেছে, তাই আমরা আশঙ্কা করছি যে, তন্ত্র সাধনায় বলি দেবার জন্য হয়তো জিভ কেটেছে। গ্রামের কারোর সঙ্গে ওদের কোন সদ্ভাব নেই।’

প্রথমে আহত শমাইকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে প্রথমে বর্ধমানে, পরে কলকাতায় এসএসকেএমে রেফার করা হয় তাঁকে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে ‘জিভ কাটা’ অবস্থাতেই জখম শমাইকে নিতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত পাকু টুডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, পাকু টুডু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা তান্ত্রসাধনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।