গুজরাটের নভসারি থেকে উঠে আসা বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে Blind Cricket World Cup-এ দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার নজিরও রয়েছে তাঁর। অথচ নিয়তির ফেরে সেই ক্রিকেটারই আজ পেশায় দিনমজুর। নিত্যদিনই তাঁকে ভুগতে হচ্ছে আর্থিক সঙ্কটে। দেশকে বিশ্ব সেরা করে তোলার পরও মেলেনি কোনও সাহায্যই। তিন-তিনবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। জোটেনি কোনও চাকরি। তাই মজুরের কাজ করেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে বিশ্বকাপজয়ী দৃষ্টিহীন ক্রিকেটার নরেশ তুমডাকে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা কালীন আবহে চরম আর্থিক অনটনে ভুগছেন নরেশ। সংসার চালাতে বাজারে সবজি বিক্রি থেকে এখন দিনমজুরের কাজ করছেন দৃষ্টিহীন এই ক্রিকেটার। তাঁর কথায়, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিন-তিনবার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও চাকরিই মেলেনি। সাহায্যের আশ্বাস দেওয়াটুকুই সার। আদতে কিছুই সুরাহা হয়নি। পরিবারের হাল ধরতে তাই দিনমজুরের কাজ বেছে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায়ই ছিল না।
এই প্রসঙ্গে এএনআইকে নরেশ জানিয়েছেন, "আমার বাবা-মা বৃদ্ধ। তাই কোনও কাজ করতে পারেন না৷ পরিবারের সম্বল বলতে একমাত্র আমি। গত বছর জামালপুর বাজারে সবজি বিক্রি করতাম৷ কিন্তু তাতে বেশি রোজগার হয় না৷ তাই দিনমজুরের কাজ বেছে নিয়েছি। সরকারের কাছে আমার একটাই আর্জি, আমাকে চাকরি দেওয়া হোক। আমি যাতে পরিবারের দেখভাল করতে পারি।"
https://twitter.com/ANI/status/1424423301695238145উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ব্লাইন্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ৩০৭ রান তুলেছিল। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন নরেশ তুমডা। ঐতিহাসিক ওই জয়ের পর রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেছিলেন৷ দিয়েছিলেন সাহায্যের আশ্বাস। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই যে ফলপ্রসূ হয়নি, তা তো বর্তমানে দেখাই যাচ্ছে।