বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

৩ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকার শিবিরে যোগ দিয়েছেন! টুইট করে কী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

০৬:৪৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

৩ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকার শিবিরে যোগ দিয়েছেন! টুইট করে কী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে একাধিক জনদরদী প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী ইস্তাহারেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। ক্ষমতায় এলে তিনি সেই সব প্রকল্পের সুচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। ‘দুয়ারে রেশন’, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’, ‘লক্ষীর ভান্ডার’-সহ একাধিক প্রকল্প জনসাধারণের জন্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জোরকদমে চলছে এই সব প্রকল্পের কাজ। পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি মতো মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে এই প্রকল্পে। শুক্রবার সকালে একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ১৬ আগস্ট থেকে ৩ কোটি মানুষ সরকার শিবিরে যোগদান করেছেন। এই প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই শিবিরে যোগদান করার জন্য।

https://twitter.com/MamataOfficial/status/1436202234581172224

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার শুরু হয় এই প্রকল্প। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, জয় জোহার-সহ অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় এই শিবিরে। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, এই পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরে এখনো অবধি প্রায় ২ কোটি মানুষ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। প্রথম দিন থেকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প ঘিরে মানুষের উত্তেজনা লক্ষণীয়। বিভিন্ন শিবিরে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই প্রকল্পে মহিলারা প্রতিমাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে। এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা পাবেন মাসে ১ হাজার টাকা করে। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যে ৬৫ হাজার ৭১টি শিবির করা হয়েছে। সেই শিবির থেকে প্রায় তিন কোটিরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর দুয়ারে সরকার শিবিরে সরকারে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ভিড় ছিল সবথেকে বেশি। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন রাজ্যের বেশিরভাগ মহিলা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পিছনে মূলত বাংলার মা-বোনেদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর সেই কারণেই সরকারে আসার পর থেকেই মহিলাদের জন্য কার্যত কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।