বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩ মৃতদেহ! স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করেই কি আত্মঘাতী অস্থায়ী শিক্ষক? তদন্তে পুলিশ

০৯:১১ পিএম, নভেম্বর ১৮, ২০২১

বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩ মৃতদেহ! স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করেই কি আত্মঘাতী অস্থায়ী শিক্ষক? তদন্তে পুলিশ

বন্ধ বাড়ির মধ্যে তিনটি মৃতদেহ৷ একটি ঘরে হেডফোনের তার দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে গৃহকর্তার দেহ। পাশের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তাঁর স্ত্রী আর একমাত্র পুত্র সন্তানকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের শহরে গুঞ্জবাড়ি এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ কীভাবে মৃত্যু হল পরিবারের ৩ সদস্যের? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম উৎপল বর্মন। বছর আটত্রিশের উৎপল আদতে দিনহাটার গোসানিবাড়ির বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী অঞ্জনা ও একমাত্র ছেলে অদৃশ। শহরেরই এবিএন শীল কলেজে অস্থায়ী শিক্ষক পেশায় যুক্ত ছিলেন উৎপল। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন ওই অস্থায়ী শিক্ষক৷ দিনহাটার বাড়িতে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও বৃহস্পতিবার কেটে গেলেও নিজের আদি বাড়িতে যাননি উৎপল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না পরিবারের কেউ।

এদিন সকালে উৎপলের খোঁজ নিতে ভাড়া বাড়িতে আসেন পরিজনরা। কিন্তু বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি শুরু করেন তাঁরা। তবে কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, একটি ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে ওই অস্থায়ী শিক্ষকের মৃতদেহ! পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী অঞ্জনা ও ছেলে অদৃশের দেহদুটিও। এরপরই স্থানীয় কোতুয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়। তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে আপাতত ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কিন্তু কীভাবে এই মৃত্যু হল? এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানালেন, বাড়ির ভিতর থেকে ১২ পাতার একটি সুইসাইড নোটের হদিশ মিলেছে। সেখানে ওই অস্থায়ী শিক্ষক লিখেছেন, কীভাবে স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করার পর তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি জীবনে না পাওয়া অপূর্ণ ইচ্ছের কথাও লিখেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিবারের আর্থিক অনটন চলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয় উৎপল। তবে পরিবারে সদস্যরা অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত জারি রাখবে।