বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের একবার সন্ত্রাসদমনে বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর ঝুলিতে। ফের নিরাপত্তাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল জম্ম-কাশ্মীর। আর এই সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ৩ জঙ্গি। এই তিন জঙ্গি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে যে, মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। এই সংঘর্ষে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সকাল থেকেই ওই এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ দল। সেই সময় নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতির কথা জানতে পেরে, গুলি চালাতে শুরু করে সেখানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর, তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়।
https://twitter.com/ANI/status/1391924801887825920 https://twitter.com/ANI/status/1391989483243851777ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, জঙ্গিরা এলাকায় বড় ধরনের কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। এর আগে মে- মাসের প্রথম দিকেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত হয় কুখ্যাত আল-বদর জঙ্গি সংগঠনের তিন জঙ্গি। এক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক নাশকতামূলক হামলার পিছনে এই পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মীরেই খতম করা হয়, এই সংগঠনের প্রধান গানি খোয়াজাকে। গানি খোয়াজ কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। ২০০০ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল খোয়াজা। তারপর কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর, ২০১৮ সালে ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। শুরুর দিকে হিজবুল মুজাহিদিনে থাকলেও সেখান থেকে লস্কর-ই-তৈবায় চলে আসে। তারপর আল-বদর সংগঠনে যোগ দেয় খোয়াজা। বেশ কিছু সন্ত্রাসমূলককাণ্ডে হাত ছিল এই গানি খোয়াজের।