বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্গা পুজোর পরই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চান বলে, আরও একবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও অবশ্য জানিয়েছিলেন যে, পুজোর পর করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে খুলবে স্কুল। আরও একবার সেই কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, সেকথাই ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি তিনি আজ জানান যে, আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ইন্টার্ন নেওয়া হবে। প্রতিবছর বাছাই করা ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই অনেকের কাজে সুযোগ ঘটবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে। বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৫০০ জনকে নিয়োগ করে তাঁদের দিয়ে ফিল্ডে ফিল্ডে কাজ করানো হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে দেওয়া হবে শংসাপত্র। যা ছাত্রদের আগামীতে ভবিষ্যৎ গড়তে কাজে দেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক করেছি, প্রতি বছর CMO তে আমি ৫০০ জন করে ছাত্রছাত্রীকে ইন্টার্ন নেব। ডেভেলপমেন্টের কাজের জন্য তাদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তারপর তাদের কাজের অভিজ্ঞতার জন্য একটা সার্টিফিকেটও দেব। যাতে পরবর্তী চাকরিজীবনে তাদের সুবিধা হয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কন্টেইনমেন্ট জোন নির্ধারণের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গটি তুলে বলেন যে, ‘আমরা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধ করেছি। আজ দেখলাম ওরা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেটা বাড়িয়েছে।’ এর পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, ‘সাড়ে নয় লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে ট্যাব দিচ্ছি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছি। যাতে আপনারা তৈরি হতে পারেন। আমাদের সময়ে এত সুযোগ ছিল না। কাউকে অর্থাভাবে আটকে থাকতে হবে না। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, চাকরি নিয়ে চিন্তা করবেন না। তবে, শুধু সরকারি চাকরির কথা ভাববেন না। আমি চাকরির ব্যবস্থা তৈরি করে দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, সামনেই শিক্ষক দিবস। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ছাত্রদের সাদামাটা আয়োজনে শিক্ষক দিবস পালন করার বার্তাও দেন। অন্যদিকে, এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষকদের বিষপানের কাণ্ড নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখান, কীভাবে গত দশ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে, ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সাড়ে ছয় হাজার অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে।