শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল করোনায় মৃতের সংখ্যা! তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে আক্রান্তের গ্রাফ

০৮:০৩ পিএম, অক্টোবর ২৮, ২০২১

রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল করোনায় মৃতের সংখ্যা! তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে আক্রান্তের গ্রাফ

সদ্য শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো। এদিকে, রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ওঠানামা অব্যাহত। উৎসবের মরশুমে রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এর মধ্যেই স্বস্তির খবর, বুধবারের তুলনায় আজ সামান্য কমেছে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা। নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। গতকালের তুলনায় যা কিছুটা বেশি। এখনও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে দৈনিক আক্রান্ত ১৬৪ জন। এছাড়াও বাকি বহু জেলা থেকেই গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের খবর এসেছে। ফলে বর্তমানে রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৩২ জন। যা ফের বাড়িয়ে তুলছে উদ্বেগ।

[caption id="attachment_37573" align="alignnone" width="1000"]রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড পরিসংখ্যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড পরিসংখ্যান [/caption]

তবে আশার কথা, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও করোনায় দৈনিক মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নমুখী। একদিনে ৯ জন কোভিডে মৃত্যুর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ১০৫ জন। পজিটিভিটি রেট ২.১৮ শতাংশ। অন্যদিকে, করোনা রোগীকে শনাক্তকরণের জন্য নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৯০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

পাশাপাশি করোনা রুখতে টিকাকরণও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৪২ জনের টিকাকরণ হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯১৯ জন প্রথম ডোজ ও ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬২৩ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটির টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে এরপরও বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, দেশে খুব শীঘ্রই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সামান্য উদাসীনতাও ডেকে আনতে পারে চরম বিপদ।