প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কফি কমাতে পারে হৃদরোগ ও স্নায়ুরোগের সমস্যা

জানা যাচ্ছে যে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় কফি পান করলে মেটাবলিক সিনড্রোম বা বিপাকীয় সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে। সম্প্রতি ‘ইনস্টিটিউট ফর সাইন্টিফিক ইনফর্মেশন অন কফি’ আয়োজিত আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত

পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞদের একটি সম্মেলনে অধ্যাপক জুসেপি গ্রসো জানান যে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি পানের অভ্যাস রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে কমে যায় কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি। তাঁর মতে, কফি আসলে হজমের ক্ষেত্রেও সহায়ক একটি পানীয়।

ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির ডঃ অলিভার কেনেডি এবং তাঁর গবেষকদল, প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন যে, যাঁরা প্রতিদিন দু’কাপ করে কফি পান করেন তাঁদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি প্রায় ৪৪ শতাংশ কমে যায়। ডঃ কেনেডির মতে, ফিল্টার্ড কফির উপকারিতা, সেদ্ধ করা কফির তুলনায় অনেক বেশি হয়।

তবে শুধু লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমানোর জন্যই নয়, লিভার কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রেখে যে কোনও বিপাকীয় সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতেও বিশেষ সাহায্য করে কফি। প্রতিদিন ১ থেকে ৪ কাপ কফি পানের অভ্যাস করলে যে কোনও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পরোক্ষ ভাবে কার্যকরী এটি। নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস ব্রেনের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।