বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হৃদযন্ত্রের সমস্যায় বিপদে তিনদিনের শিশুর জীবন! সদ্যোজাতকে বাঁচাতে সব দায়িত্ব নিলেন অভিষেক

১২:১২ পিএম, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

হৃদযন্ত্রের সমস্যায় বিপদে তিনদিনের শিশুর জীবন! সদ্যোজাতকে বাঁচাতে সব দায়িত্ব নিলেন অভিষেক

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তিনি সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজ্যের শাসকদলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর বাইরেও তাঁর একটা পরিচয় আছে, তিনি মানবদরদী। সেটাই এবার প্রকাশ্যে এল। এক সদ্যোজাতের প্রাণ বাঁচাতে তার অসহায় বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এবার চিকিৎসার সুব্যবস্থা পেল মাত্র তিনদিনের এক শিশু। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি বারাসাতের নিউ সেবা সদন হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পূজা দেবনাথ নামে উত্তর ২৪ পরগনায় হরিণঘাটা এলাকার এক মহিলা। সদ্যোজাতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে বুঝেই শিশু চিকিৎসকরা তাঁর পরিবারকে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে শিশুটির চিকিৎসা করান সম্ভব হয়নি। এরপর শিশুটির পরিবার তাঁকে নিয়ে যায় আইএলএস নাগেরবাজারে। কিন্তু এই হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছিল। নাগেরবাজারের এই বেসরকারি হাসপাতাল স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, তিনটি অস্ত্রোপচার করে ৩ টে  স্টেইন বসাতে হবে শিশুটির হৃদযন্ত্রে। এক একটি অপারেশনের জন্য খরচ আনুমানিক ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। এদিকে, এই বিপুল পরিমাণ খরচের ভার শুনে ওই সদ্যোজাতের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তাঁদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় বলেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় কাতর আর্জি জানান দেবনাথ পরিবার। টলিউডের এডিটর অনির্বাণ মাইতির কাছে ম্যাসেঞ্জারে আবেদন আসে ওই বাচ্চাটিকে বাঁচানোর। এরপর তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। এই অনির্বাণ মাইতি আবার মনেপ্রাণে বামপন্থি। তিনি এর আগেও বিভিন্নভাবে মানুষের সেবায় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

https://www.facebook.com/anirban.maity/posts/10226649768205357

অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই পোস্ট দেখার পরই এগিয়ে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। তাঁর তত্ত্বাবধানে অবশেষে আরএন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিন দিনের ওই সদ্যোজাতকে। হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই বহন করবেন বলেও জানিয়েছে তাঁর টিম। তৃণমূলে সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে শিশুটির পরিবারের প্রত্যেক সদস্য।