বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘গুণ্ডামি ও অরাজকতা বিজেপির সংস্কৃতি’ বিস্ফোরক অভিষেক! ‘ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে’ পাল্টা জবাব দিলীপের

১২:০৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

‘গুণ্ডামি ও অরাজকতা বিজেপির সংস্কৃতি’ বিস্ফোরক অভিষেক! ‘ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে’ পাল্টা জবাব দিলীপের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সিপিএম বনাম বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। সিপিএম কর্মীদের বাড়ি-গাড়ি এবং কার্যালয়ে আগুন লাগানোর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের উপরেও হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। একাধিক হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে বিশালগঢ়-উদয়পুর এলাকার। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরেও ঢুকতে বাঁধা পেয়েছিলেন। সেই সময়ও সিপিএম-বিজেপি সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র। গতকাল আবারও একবার নতুন করে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

এই ঘটনায় টুইটে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইটের মাধ্যমে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আবার অভিষেকের টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

টুইটে ত্রিপুরার হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন যে, ‘গুণ্ডামি ও অরাজকতাকে সংস্কৃতি করে ফেলেছে ত্রিপুরা বিজেপি। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভও আক্রান্ত। আমরা সংবাদ মাধ্যমের পাশে আছি এবং ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের দুয়ারে গুণ্ডা মডেলের বিরুদ্ধে লড়াই আমরা জারি রাখব।’

https://twitter.com/abhishekaitc/status/1435632582822039555

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই টুইটের পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জবাবে বলেন যে, ‘এখান থেকে নেতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান থেকে মিডিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান লোক নিয়ে গিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে। ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে। আমার মনে হয় ওখানকার লোকজন এটা পছন্দ করছে না।’

উল্লেখ্য, বুধবারই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন যে, ত্রিপুরায় ‘দুয়ারে গুন্ডা’ প্রকল্প চালাচ্ছে বিপ্লব দেবের সরকার। এই মন্তব্যেরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুন্ডারাজ হঠান, তারপর ত্রিপুরা যাবেন।’

বুধবার আগরতলার কার্যালয় ছাড়াও উদয়পুর এবং বিশালগড়ের কার্যালয়েও তান্ডব চালানো হয় বলে দাবি করেছে। প্রাক্তন বাম মন্ত্রী রতন ভৌমিকের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদী কলম নামে একটি দৈনিকের অফিসেও তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। সাংবাদিকদের মোটরবাইক-সহ পত্রিকার সম্পাদকের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় ৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি। সিপিআইএম-এর মুখপত্র ডেইলি দেশের কথার দপ্তরেও দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বলেও অভিযোগও। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়।