শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সংসদীয় রণনীতি কী হবে? কেন্দ্রের মোকাবিলাই বা কীভাবে হবে? তা নির্ধারণে লক্ষ্মীবারে দিল্লিতে অভিষেক

০১:০৫ পিএম, জুলাই ২১, ২০২১

সংসদীয় রণনীতি কী হবে? কেন্দ্রের মোকাবিলাই বা কীভাবে হবে? তা নির্ধারণে লক্ষ্মীবারে দিল্লিতে অভিষেক

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচি মিটতেই, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুই কক্ষের সাংসদদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জরুরি বৈঠক করবেন তিনি।

সংসদে দলের রণনীতি কী হবে, কীভাবেই বা মোকাবিলা করা হবে কেন্দ্রের শাসকদলের, তা নিয়ে আলোচনা করতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর। পাশাপাশি বিল, অর্ডিন্যান্স সম্পর্কে কী অবস্থান হবে, সেসব নিয়ে দলের অবস্থান সাংসদদের কাছে স্পষ্ট করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও পৌঁছেও দেবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলের আরও বিস্তার কীভাবে ঘটানো যায়, সেক্ষেত্রে দলের সাংসদদের ভূমিকা বা দায়িত্ব কী হবে, সে প্রসঙ্গেও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, ২২ জুলাই তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন অভিষেক।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রের মোদী সরকার যে বিলগুলি আগামী দিনে আনতে চলেছে, তা বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হবে এই বৈঠকে। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতা, ভ্যাকসিন বন্টনে ঢিলেমি বা টালবাহানা ইত্যাদি আরও নানা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণকে কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, তারই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হবে এই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে। আবার সংসদে তৃণমূল সাংসদরা কীভাবে একেবারে ‘অল আউট অ্যাটাক’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন, সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বৈঠকে।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৬ জুলাই দিল্লি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে পারেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোদী-অমিত শাহ জুটি বাংলার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখলেও, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের হাসি হেসেছে তৃণমূল কংগ্রেসই। তাও ব্যাপক ভোটে জিতে। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পরই, ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’, ‘দিদি এবার পিএম’-এর মতো স্লোগান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেই, জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়াতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে সংগঠন আরও মজবুত করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অ-বিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফেরার পর এমনিতেই অবিজেপি নেতৃত্বের কাছে নেত্রীর গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। দেশব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার স্বাভাবিকভাবেই মমতার জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই দেশজুড়ে সংগঠন বাড়াতে চায় তৃণমূল। একুশের মঞ্চ থেকে চব্বিশে মোদী সাম্রাজ্য উপড়ে ফেলার শপথ নিতে পারে তৃণমূল। সেই প্রক্রিয়াই হয়তো শুরু হতে চলেছে। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।