বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

মন্ত্রীদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? প্রশ্ন অধীরের

১০:২০ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

মন্ত্রীদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? প্রশ্ন অধীরের
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই নিমতিতার বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার এই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ওই বিস্ফোরণে এক জন নিহত ও অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আছেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অধীর চৌধুরী বলেন, "মন্ত্রীদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, পরিকল্পনামাফিক ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনাটা কে করেছে? মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্‍ হন, নির্ভিক হন, দলের কর্মীদের প্রতি তাঁর আবেগ-ভালবাসা থাকে, তাহলে ওখানকার পুলিশকে বলুন। ১০ মিনিট লাগবেনা, কারা ওই কান্ড করেছে তা জানতে। জাকির একজন সত্‍ রাজনীতিক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বরাবর এ কারণে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়েছে। ডাকির সত্‍ভাবে জীবনযাপন করতে চায়। তৃণমূল অসত্‍ভাবে কাটাতে চায়। সেই কারণে কখনও জাকিরের সঙ্গে গরুপাচারকারীদের সংঘর্ষ, কখনও পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপালিটি নেতাদের সঙ্গে সঙ্ঘাত। ওকে সরকারি ও মিউনিসিপালিটির অনেক অনুষ্ঠানে ডাকা হত না। কারণ, ও সত্‍। আমি বলি, জাকির হল দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ। এই জাকির নির্বাচনে নিজের জনপ্রিয়তায় জিতেছে। দায়িত্ব নিয়ে বলছি। ও আমাদের দলের জনপ্রিয় কর্মী। ওকে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা তৃণমূল দলের অন্তর্দন্দ্ব। কারণ, ও হচ্ছে ওদের দলের ব্যতিক্রমী চরিত্র।" কিছুকাল আগে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে যে ৬ জন ডাক পেয়েছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন ডোমকলের প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন। তাঁর অভিযোগ, জাকিরকে মেরে দেওয়ার ছক করেছেন অধীর চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে অধীরবাবু এ দিন বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাকে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দিন! আমরা পরস্পরকে প্রশ্ন করব, উত্তর দেব। গরু চোর, ইঁদুর চোরদের এর মধ্যে ঢোকাবেন না। আমাদের একটা মান ইজ্জত আছে। ভবিষ্যতে এ রকম প্রশ্ন থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। এটা মনে রাখবেন!"