বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। তালিবানি দখলে যাওয়ার পর থেকেই অশান্ত কাবুল। এখন গোটা আফগানিস্তানের দখল নেওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা। অনেক আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। যত সময় এগোচ্ছে, ততই ক্রমশ খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। নিজের দেশকে আর সুরক্ষিত মনে করছেন না আফগানরা। তালিবানি শাসন থেকে মুক্তি পেতে দেশ ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে সে দেশের নাগরিকদের মধ্যে।
এ যেন এক অন্ধকারময় আফগানিস্তানের ছবি। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা দেশটা আতঙ্কের অতল গহ্বরে চলে গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে সকলেই উদভ্রান্তের মতো ছুটে চলেছেন। বিমানে ওঠার জন্যও লম্বা লাইন। এর মধ্যেই বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে শিহরিত গোটা বিশ্ব। শরিয়ত আইনের কঠোর শৃঙ্খলে ফের বাঁধা জর্জরিত হওয়ার আশঙ্কায়, আতঙ্কিত সে দেশের নারীসমাজ, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল এক অন্য ছবি।
সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি আফগান সংবাদমাধ্যমের মহিলা সঞ্চালককে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তালিবান মিডিয়া সেলের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক Mawlawi Abdulhaq Hemad। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে দেশের মহিলারা নিজেদের জন্য যেমন ভাবিত, ঠিক তেমনই গোটা বিশ্ব তাঁদের নিয়ে ভাবিত। কারণ শরিয়ত আইন মেনে চলা তালিবানরা বরাবরই মহিলাদের কঠোর নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখতেই চায়। মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার, বাইরে কাজের অধিকার, পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকারকে মান্যতা দেয় না তাঁরা। অন্তত অতীত তো তাই বলছে।
https://twitter.com/TOLOnews/status/1427525142738087941 https://twitter.com/mattaikins/status/1427519474316587034যদিও আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে নির্ভয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলছেন তালিবানি নেতারা। এখন এটাই দেখার যে, নারী সমাজের প্রতি তালিবানদের ভূমিকা কী হবে বা হতে চলেছে? যা নিয়ে ভাবিত আন্তর্জাতিক মহলও। যদিও বারবার তাঁদের সমস্ত আশঙ্কা দূর করার চেষ্টা করেছেন তালিবান শীর্ষ নেতারা।