শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের পরই বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন মুকুলের! জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে

০৫:৩৪ পিএম, জুন ১২, ২০২১

ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের পরই বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন মুকুলের! জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে

বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যে শেষ হয়েছে ভোট যুদ্ধ। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল শিবির। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আর বর্তমানে দলবদলুরা অনেকেই ফের তৃণমূলে ফিরতে আর্জি জানিয়েছেন। আর এরই মাঝে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতে পারেন এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। আর অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটে গতকাল। ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের পরই বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন মুকুলের। তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে

প্রসঙ্গত ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দূরত্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছিল মুকুল-মমতার। সেই দূরত্ব এবং সম্পর্কের ফাটল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন ২০১৭ সালে রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সঙ্গী মমতার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে, বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। তবে রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। আর এই কথায় সত্যি প্রমাণিত হল। গতকালই পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে মুকুল রায়ের। শুক্রবার এতদিনের দলবদলের সব জল্পনা সত্যি প্রমাণিত করে তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়। তাঁদের দুজনকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে নিজের পুরাতন দলে ফিরেই কাজ শুরু করেছেন মুকুল। গতকাল তৃণমূল শিবিরে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের ফোন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেন মুকুল, এমনটাই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। আর এর জেরে আগামীতে গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙন নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

জানা গেছে গতকাল কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি ও পুরুলিয়ার বিধায়ক দের কাছে মুকুলের ফোন যায়। এছাড়া উত্তরবঙ্গের একজন সাংসদের কাছে ফোন যায় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে উপরিউক্ত জেলাগুলির মধ্যে পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক ও অন্যান্য জেলাগুলির একজন করে বিধায়কের কাজেই ফোন যায় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বহু বিজেপি নেতাকেই বেসুরো কথা বলতে দেখা গেছে। আর মুকুলের দলবদলের পর রাজনৈতিক মহল বেশ সরগরম।