করোনার পাশাপাশিই দেশে এসেছে নতুন এক রোগ, Black Fungus। রাজস্থানে ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। কালো ছত্রাকের সংক্রমণে ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি। গতকাল, বুধবার, রাজস্থান সরকার Black Fungus-কে মহামারী ঘোষণা করেছে। এর জন্য রাজ্যে পৃথক ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রে এই রোগের কবলে মারা গিয়েছেন প্রায় ৯০ জন। অত্যন্ত ভয়াবহ বলেই ঘোষণা করা হয়েছে এই রোগকে।
কালো ছত্রাকজনিত বিরল এই রোগ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে৷ বিশেষ করে করোনা আক্রান্তদের শরীরেই বাসা বাঁধছে এই রোগ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে এই ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মূলত যাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগের মাত্রা বেশি রয়েছে। সম্প্রতি এই রোগ সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল AIIMS। সেখানে এই রোগে উপসর্গ থেকে শুরু করে সংক্রমণ হলে কী করবেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত পরামর্শ দেওয়া রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রোগের লক্ষণ এবং কাদের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য...
রোগের লক্ষণঃ ১. অস্বাভাবিক কালো স্রাব বা নাক থেকে রক্ত বের হওয়া। ২. মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা, নাক, গাল, চোখের চারপাশে ফোলাভাব, দৃষ্টিতে সমস্যা। এছাড়াও চোখে লালভাব, চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া, চোখ খোলার অক্ষমতা। ৩. কালো ছোপ ছোপ বা বর্ণহীনতা, স্পর্শে ব্যথা ৪. চিবানো বা মুখ খোলার সমস্যা। ৫. মুখের অসাড়তা।
কাদের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি? ১.গুরুতর কোভিড আক্রান্ত রোগী যাঁরা অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, তাঁদের আশঙ্কা থাকছে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগী হলে তাঁদের সম্ভাবনা আরও বেশি। ২. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিক কেটোসিডোসিসের জন্য অতিমাত্রায় স্টেরয়েড, টসিলিজুমাব নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের সংক্রমণের আশঙ্কা খুব বেশি। ৩. যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে steroid ও tocilizumab নিচ্ছেন সেসব রোগীদের সম্ভাবনা রয়েছে। ৪. যাঁদের immunosuppressant or anticancer-র চিকিৎসা চলছে তাঁদেরও যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
উপসর্গ ধরা পড়লে কী করবেন? উপসর্গগুলি ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ENT ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অযথা প্যানিক করবেন না। এতে ব্রেন এমার্জেন্সি হয়ে শরীরে অক্সিজেনের অভাব থেকে শুরু করে বুকে চাপ লাগতে পারে। ফলে শরীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো সুগার কোন স্তরে আছে সেটি পরীক্ষা করে ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। যারা comorbidities, তাঁদের নিয়মিত ওষুধগুলিই খেয়ে যেতে হবে। তবে নিজের থেকে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে বিপদ বাড়বে।