শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সংক্রমণ রুখতে, শেষ দু'দফার ভোট একদিনে করার আর্জি নিয়ে কমিশনে তৃণমূল

০৪:০২ পিএম, এপ্রিল ২০, ২০২১

সংক্রমণ রুখতে, শেষ দু'দফার ভোট একদিনে করার আর্জি নিয়ে কমিশনে তৃণমূল

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সমগ্র দেশে করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়াবহ। রাজ্যেও ভোটের মরশুমে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৪২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এই জটিল পরিস্থিতিতে, ফের একবার নির্বাচনের দফা কমিয়ে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে একটি দাবিপত্র পেশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সেখানে দাবি করা হয় যে, সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোট যাতে একসঙ্গে করা যায়, সেই ব্যবস্থাই নিক কমিশন।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২২ তারিখ রয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। এত কম সময়ে এই পর্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়। তাই সেকথা বিবেচনা করেই, তৃণমূল চাইছে বাকি দুই দফা অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিলের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া একসঙ্গে করার কথা বিবেচনা করে দেখুক নির্বাচন কমিশন। সমগ্র দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই আর্জি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এই ধরনের আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, সেটা সম্ভব নয়। অল্প সময়ের মধ্যে তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার জন্য যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তা আনা সম্ভব নয়।

এদিন তৃণমূলের দেওয়া চিঠিতে হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে হাইকোর্ট-এর থেকে করোনা-বিপর্যয় ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে হয়েছে কমিশনকে। যুক্তি হিসেবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই কমিশন প্রচারের সময়সীমা কমালেও, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমছে না, তাই বিপর্যয় এড়াতে প্রয়োজন সার্বিকভাবেই দিনসংখ্যা কমিয়ে আনা। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে, গোটা বিষয়টা একদিনে সম্পন্ন হওয়া জরুরি। কমিশন যেন বিষয়টি বিবেচনা করে। আরও বলা হয়েছে চিঠিতে যে, ইতিমধ্যেই ৫২ দিন প্রচার করে ফেলেছে সব দলের প্রার্থীরা, কাজেই দফা কমিয়ে আনলে, কোনওভাবেই প্রচারের ক্ষতি হবে না।

তাছাড়া, মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট জারি থাকাকালীন রাজ্যের বেশির ভাগ উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তারা নির্বাচনী কাজেই ব্যস্ত। করোনার মধ্যেই কম সংখ্যক আধিকারিক নিয়ে কাজ করাটা যে অসুবিধের, তা কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় তৃণমূল। তৃণমূল বলছে নির্বাচনের অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার দুটিই রাজ্যবাসীর মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। এই দুই অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে রাজ্য এখন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।