শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক শাহের! বৈঠকে যোগ দেবেন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

১০:৫০ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক শাহের! বৈঠকে যোগ দেবেন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আগামিদিনে আরও জোরদার করতে, রবিবার নকশাল-মাওবাদী অধ্যুষিত ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে রাজ্যগুলিতে মাওবাদী কার্যকলাপের খুঁটিনাটি তথ্যের পাশাপাশি আগামিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে।

গত এক বছরে সুকমা-দান্তেওয়ারার ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে, ১০ রাজ্যে নকশালরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চলের উপর নিয়মিতভাবে নজরদারি চললেও, সাম্প্রতিক অতীতে নতুন করে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্র সরকার। তাই উগ্র বামপন্থা দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

জানা গিয়েছে, রবিবার বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। রাজ্যের নকশাল সক্রিয়তা বা সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তবে, সূত্রের এও খবর যে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না। তবে, তিনি উপস্থিত না থাকলেও, রাজ্যের পক্ষ থেকে আধিকারিকদের সেখানে পাঠাবেন। এও শোনা যাচ্ছে যে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমোহন রেড্ডি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত থাকবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নকশাল কার্যকলাপ নিয়ে নিয়মমাফিক প্রতিবছরই একবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে, ২০২০-তে করোনার কারণে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ও রাজ্যের সহায়কেরা নকশাল ও সরকার বিরোধী কার্যকলাপ রুখতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন এই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করার পাশাপাশি কোন উপায়ে এই চরমপন্থীদের রোখা সম্ভব, সেই রূপরেখাও আলোচনার মাধ্যমে স্থির করা হয়ে থাকে।

শুধুমাত্র এই ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই নন, পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের নিরাপত্তায় মোতায়েন প্যারামিলিটারি ফোর্সের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চল্গুলিতে কমপক্ষে ৩০০ টি অপারেশন হয়েছে। ছত্তিশগড় পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় কুখ্যাত মাওবাদী সুজাতা সহ একশোরও বেশি নকশাল যোদ্ধা মারা গিয়েছেন। উল্লেখ্য, সুজাতার খোঁজ পেতে ২৫ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

আবার চলতি বছরের ২২ মার্চ মাওবাদী হামলায় ছত্তিশগড়ের বস্তারে মৃত্যু হয় ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর। পাশাপাশি আহত হন ১৫ জন। এখানেই শেষ নয়, হামলার পর ১৬ টি অস্ত্র লুঠ করে পালায় মাওবাদীরা। এরপর ফের পরের মাসেই ৪ এপ্রিল ছত্তিশগড়েরই সুকমা-বিজপুরে আরও বড় মাও হামলা হয়। মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২২ জন জওয়ানের। বীজাপুরে মাও হানায় আহত হন আরও ১২।