শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজই বিজাপুর যাচ্ছেন অমিত শাহ

১০:০০ এএম, এপ্রিল ৫, ২০২১

সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজই বিজাপুর যাচ্ছেন অমিত শাহ

শনিবার ছত্রিশগড় সুকমা বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদীদের সংঘর্ষে ২২জন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে আজ সোমবার সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজাপুর যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জাওয়ানদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেই খবর।

অন্যদিকে ছত্রিশগড় বিজাপুর জওয়ানদের উপর হামলা নিয়ে গোয়েন্দাদের কর্মক্ষমতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাদের ব্যর্থতা নিয়েও। তবে এই দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষকর্তা কুলদীপ সিং।

https://twitter.com/ANI/status/1378909786540924933 https://twitter.com/ANI/status/1378923555287564293

এই প্রসঙ্গে কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, বাবাজির অন্তত তিনটি ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে তাদের আহত ও নিহত সঙ্গীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। যদি গোয়েন্দা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থাকতো তাহলে মাওবাদীদের ২২ থেকে ৩০ জন নিহত হতেন না। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, মাওবাদীরা নিশানা পেতে ছিল এবং সেখান থেকেই তারা জাওয়ানদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের উপর হামলা চালায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর ও সুকমার মাঝে দক্ষিণ বস্তারের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামেন ২ হাজারের বেশি জওয়ান। মাওবাদী অধ্যুষিত দক্ষিণ বাস্তারের শুকমা ও বিজাপুরে শনিবার পৃথক ভাবে অপারেশন চালিয়েছিল যৌথ বাহিনী। প্রায় ২ হাজারে জওয়ান ও অফিসার নিয়ে সেই টিম অপারেশন শুরু করতেই পাল্টা ঝাঁপিয়ে পড়ে মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি টিমকে ঘিরে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে তারা। সেই সংঘর্ষ প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে। মাওবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ৫ জওয়ানের। নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি চলে। নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতেও বেশ কয়েক জন মাওবাদীদের মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানোর পর আরও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আপাতত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২। জখম হয়েছেন ৩১ জন।এখনও নিরাপত্তা বাহিনীর একজন জওয়ান নিখোঁজ। ছত্তিশগড় প্রশাসন জানিয়েছে, মাওবাদীদের গুলিতে জখম আধাসেনা জওয়ানদের মধ্যে ২৪ জনের চিকিত্‍সা চলছে বিজাপুর হাসপাতালে। বাকি ৭ জনের জখম গুরুতর হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছে রায়পুরের হাসপাতালে। ছত্তিশগড়ের ডিরেক্টর জেনারেল (নকশাল অভিযান) অফ পুলিশ অশোক জুনেজা বলেন, গতকাল সংঘর্ষে ৫ জন মারা গিয়েছিলেন। নিহত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। খোঁজ মিলছে না আরও অন্তত ২১ আধাসেনা জওয়ানের। রবিবার সকালে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিং-ও পৌঁছে যান সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে।