1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অমিত মিত্র! পরবর্তী মন্ত্রী কে? তুঙ্গে জল্পনা!

০১:২৭ পিএম, জুলাই ১১, ২০২১

সেই ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তবে এবার শোনা যাচ্ছে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। শারীরিক কারণে দীর্ঘ দশ বছর রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পদে থাকার পর অমিত মিত্র মন্ত্রীত্ব থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হলেই সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি। ভোটের ময়দানে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে দেখা যাবে না তাঁকে। আগামী নভেম্বরেই ৬ মাসের মেয়াদ মিটলে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর বিদেশে নিজের মেয়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর৷ উল্লেখ্য, চলতি বছরের নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন অমিতবাবু। সেই কারণে ২০১১ সাল থেকে খড়দহ আসনে লড়ে এলেও এবার ভোটেই দাঁড়াননি তিনি। খড়দহ থেকে কাজল সিনহাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ফলপ্রকাশের আগেই কোভিডে প্রয়াত হন তিনি। ফলে ওই কেন্দ্র ফাঁকাই পড়ে রয়েছে।

এদিকে ওই কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল দল। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, খড়দহ থেকে অমিত মিত্রকে উপনির্বাচনে দাঁড় করানো হবে। কিন্তু তিনি আর নির্বাচনে লড়তে রাজি হন। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই ৬ মাসের জন্য অর্থমন্ত্রীর পদে থাকতে রাজি হন অমিতবাবু। মেয়াদ ফুরোলেই অব্যাহতি নেবেন তিনি।

যদিও এরপরও অমিত মিত্রকে ছাড়তে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মন্ত্রী হিসেবে না থাকলেও অর্থ দপ্তরের উপদেষ্টা পদে রাখা হতে পারে অমিতবাবুকে। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী কে হবেন? এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ পরবর্তী অর্থমন্ত্রী বেছে নেওয়া। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও কাউকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব নিতে পারেন। অর্থনীতিবিদদের মতামত জানানোর জন্যে একটি মঞ্চ গঠন করা হবে। অন্য কাউকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা চলবে। তবে করোনা আবহে উপনির্বাচনে বিঘ্ন ঘটলে সব কিছুই অনিশ্চিত হয়ে যাবে।