1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

পাল্লা দিয়ে করোনা ছড়াচ্ছে, কমিশন কী ভূমিকা নিচ্ছে? ভোটপ্রচারে জমায়েত ঘিরে চরম অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট!

০৩:১৩ পিএম, এপ্রিল ২২, ২০২১

দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চরম আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতেও কী ভাবে বিপুল জমায়েত করে ভোট প্রচার চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের সব ক্ষমতা থাকলেও, প্রতিনিধিরা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন। কোনও কাজ করছেন না।

সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনজন। তাঁদের দাবী, ভোট হলেও প্রচারে যেন রাশ টানা হয়৷ কারণ, দিনের পর দিন কঠিন হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। এই মামলাই শুনানির সময় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান বিচারপতি টিবি এন রাধাকৃষ্ণণ। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে করোনা রুখতে কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত কঠোর হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা সার্কুলার জারি করেই থেমে গিয়েছে। আর কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না। এই অবস্থায় সার্কুলার নয়, পদক্ষেপ জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সার্কুলার দিয়েই সাধারণ মানুষের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছে কমিশন। সব থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ থেকে অফিসার কোনও কাজ করছেন না। ক্যুইক রেসপন্স টিমকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই কমিশনে কাজে আদালত অসন্তুষ্ট। তাঁরা কোনও অর্ডার দিতে পারছেন না, কারণ রাজনৈতিক দলের কোনও প্রতিনিধি আদালতে নেই। তাই কমিশনের কাছে শুধুমাত্র সার্কুলার নয়, শীঘ্রই পদক্ষেপ চাইছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি এর আগে ভোটের সময় টি এন শেষনের কাজকে অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র ভোটের ৪৮ ঘণ্টার বদলে ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া ছাড়া, ভোট প্রচার নিয়ে তেমন কোনও কড়া পদক্ষেপই নেয়নি নির্বাচন কমিশন। অথচ তাদের হাতে প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। তা ঠিকমতো ব্যবহারই করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলির দাবী, কমিশনের যা সিদ্ধান্ত নেবে তা-ই তারা পালন করতে রাজি। কিন্তু কড়া কোনও ভূমিকাই পালন করতে দেখা যাচ্ছে না কমিশনকে। সেই কারণেই কমিশনকে নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে হাইকোর্টও। মামলার ফের শুনানি হবে শুক্রবার। এর মধ্যে কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, আদালত কিছু ব্যবস্থা করবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।