1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ! ফের একবার মানুষের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ টানা হতে পারে রাজ্যে

১১:০০ এএম, মার্চ ২৫, ২০২১

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থা রাজ্য তথা গোটা দেশের। ফের একবার গত বছরের সেই ভয়ঙ্কর অবস্থার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় কাঁপছে গোটা দেশ। দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল ইত্যাদি রাজ্যে।

এদিকে এ রাজ্যেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬২ জন। সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। এরপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার নাম। এই জেলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলাতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০৪ জন।

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৬৫ জন। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অবিলম্বে করোনার টেস্ট প্রতিদিন ২৫ হাজারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে। তবে, এরপরেও কাজ না হলে, আবারও সাধারণ মানুষের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ টানা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, গত বছরের লক ডাউনের স্মৃতি এখন সাধারণের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়নি। এখনও সেই স্মৃতি টাটকা রয়েছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন করা হবে কিনা, সেই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, একথা ঠিক যে, পরিস্থিতি ভালো নয়। এ রাজ্যেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। টেস্ট বাড়াতেই দৈনিক সংক্রমণও বেড়ে গেছে।

এদিকে এই আবহে এবার করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে, রাজ্যকে নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি মনে করে যে, দোলের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে, তাহলে সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য। এক্ষেত্রে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ দেখে, তবেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে এ ব্যাপারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করেই, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সম্প্রতি নয়া নিয়ম জারি করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আগামী মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ, ১ এপ্রিল থেকেই এই নতুন নিয়ম লাগু হবে জানা গিয়েছে। গত মঙ্গলবারই কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এই নতুন নির্দেশিকা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এই নতুন নির্দেশিকায় মূলত টেস্ট ট্র্যাক ট্রিট প্রোটোকলের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যাতে এই নিয়ম মেনে চলে, তার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সকলে যাতে প্রতিষেধক পান, তার দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ যেভাবে বা যে পথে হাঁটা হয়েছে, সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্র এবারও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা পরীক্ষায় কেউ আক্রান্ত ধরে পড়লে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসাও শুরু করতে হবে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হবে এবং তা জেলাশাসক অথবা জেলা কালেক্টরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও, সাধারণ মানুষ যাতে জাতীয় করোনাবিধি মেনে চলেন, তার দিকে নজর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। বিশেষ করে অফিস, স্কুল-কলেজের দিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে।

আবার এদিকে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে ইতিমধ্যেই Covid-19 পরিস্থিতিতে ভোট বন্ধের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার জনৈক সোমনাথ রায়-সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এই মামলা দায়ের করেন। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।