1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ! গতিবেগ কতো? কোথায়ই বা আছড়ে পড়তে চলেছে জাওয়াদ?

১০:০৭ এএম, ডিসেম্বর ২, ২০২১

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তা আছড়ে পড়তে চলেছে। এদিকে, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করল কেন্দ্রীয় সংকট মোকাবিলা কমিটি। বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসনের তরফে এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বে বুধবার এই বৈঠক হয়।

এই কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপরে। চলতি মাসের ৩ তারিখ তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। এরপর সেটি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অতিক্রম করবে ৪ ডিসেম্বর, সেই সময় এটির হাওয়ার গতি থাকবে, ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। পাশাপাশি বিপুল বৃষ্টি ও সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে এই প্রাকৃতির দুর্যোগ দেখা দেবে। ঘূর্ণিঝড় মূলত প্রভাব ফেলবে শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম ও বিজয়নগরমে। এছাড়া এর প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে এই দুর্যোগের প্রভাবে।

উক্ত কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্যসচিব ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁরা ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে কী ব্যবস্থা প্রশাসনিক স্তরে নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যে রাজ্যগুলিতে ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে আপাতত ৩২টি দল পাঠিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়া প্রয়োজনে আরও অতিরিক্ত দল পাঠাতে হতে পারে বলে খবর। এর পাশাপাশি পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে নৌবাহিনীকেও।

অন্যদিকে, এই বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিবের পক্ষ থেকে কৃষির ক্ষতি এড়াতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কোথাও বলা হয়েছে। যে যে অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে, সেইসব অঞ্চলে যাতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা এবং প্রাণহানি ঠেকানো যায়, তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথের এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে মানুষদের। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিসেধ করা হয়েছে।