বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাসখানেক আগেই পেয়েছিলেন খুনের হুমকি। সলমন খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল শার্প শুটারও। তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই মিলেছিল উড়ো চিঠি। হুমকির হাত থেকে বাদ যাননি অভিনেতার বাবা সেলিম খানও। এমনকি আত্মরক্ষার তাগিদে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়ে মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার। এবার মিলল সেই অনুমতি।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডের পর বারংবার হুমকির চিঠি পাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন সলমন খান। তাই কয়েকদিন আগেই নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সাউথ মুম্বইয়ের দফতরে মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক পানসলকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে, আত্মরক্ষার তাগিদে লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। এমনকি এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্রও জমা দিয়েছিলেন।
ঠিক কী হুমকি দেওয়া হয়েছিল সলমন খানকে? কারাই বা যুক্ত ছিল গোটা ঘটনায়? প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে যান সলমন খানের বাবা সেলিম খান। মাসখানেক আগে সেলিম খানের বাড়ির সামনেই একটি বেঞ্চে রাখা একটি হুমকির চিঠি উদ্ধার করে সেলিম খানের নিরাপত্তারক্ষীরা। চিঠিতে কারও নাম ছিল না। কেবল স্পষ্ট বলা বলা হয়েছিল, ‘সিধু মুসেওয়ালার মতোই পরিণতি হবে’।
চিঠি পাওয়ার পরেই বান্দ্রা থানার দ্বারস্থ হন খান পরিবার। দায়ের করা হয় এফআইআর। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সলমন খানের বাড়ি এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা। পরে জানা যায়, গোটা ঘটনার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর সংযোগ রয়েছে।
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পুলিশের জেরায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করেন যে সলমন খানকে খুনের জন্য তিনি ৪ লাখ টাকার আরকে স্প্রিং রাইফেল কিনেছিলেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডের জন্য সলমন খানকে কখনই ক্ষমা করবেন না।
এমনকি এই ঘটনায় সর্বসমক্ষে অভিনেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে এই কারণেই সলমন খানকে প্রাণে মারার ছক কষেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর কমিউনিটির সদস্যরা। এমনকি সলমন খানকে হত্যার জন্য ওই দলের সদস্যদের মধ্যে সম্পত নেহেরাকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।