বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের কাণ্ডকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিজেপি সাংসদদের নিজের বাসভবনে বুধবার ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাতঃরাশের জন্য সাংসদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অতি সম্প্রতি বহুল চর্চিত রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনা নিয়ে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করবেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা। রাজ্যের তৃণমূলশাসিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা, সেই সঙ্গে পরামর্শও নেবেন।
এদিকে, আজই একদিকে রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড বাধল। বিধানসভা কক্ষেই বগটুইকাণ্ড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়করা।
এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বিধানসভায় সাসপেন্ড প্রস্তাব পেশ করেন ফিরহাদ হাকিম। ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির ৫ বিধায়ককে। এরা হলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, শংকর ঘোষ এবং দীপক বর্মা। রামপুরহাট বগটুই গ্রামের কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
অন্যদিকে, আজ দিল্লিতে শাহ-ধনখড় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, রামপুরহাট-সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে। টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই। রাজ্যপাল টুইটে উল্লেখ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনেই এই বৈঠক হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণেই এই বৈঠক হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আহ্বানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে সরানোর দাবি জানান তৃণমূল সাংসদরা। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে সেদিন শাহকে রিপোর্টও জমা দেন তৃণমূল সাংসদরা।
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চান রাজ্যপাল। টুইটে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। এর জবাবে পাল্টা চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার উত্তরে রাজ্যপাল লেখেন, ‘রাজভবনে বসে আমি নীবর দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। আমাদের রাজ্য শান্তিপূর্ণ, এই দাবি হাস্যকর।’