1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বন্ধ্যা ভূমিতে বৃক্ষরোপণ, মরুভূমি বদলে হল সবুজ অরণ্য! পরিবেশ রক্ষায় অনন্য নজির গড়লেন বৃদ্ধ

চৈত্রী আদক

মে ৫, ২০২২, ০১:৫৫ পিএম

বন্ধ্যা ভূমিতে বৃক্ষরোপণ, মরুভূমি বদলে হল সবুজ অরণ্য! পরিবেশ রক্ষায় অনন্য নজির গড়লেন বৃদ্ধ

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই যখন গাছ কেটে সবুজের ধ্বংসলীলায় ব্যস্ত তখন নিজে হাতে বন্ধ্যা ভূমিকে সবুজ অরণ্যে পরিণত করে নজির গড়েছেন তুরস্কের বন দফতরের প্রাক্তন অধিকর্তা। চাকরিতে নিয়োজিত থাকাকালীনই নিজের চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছেন একের পর এক অরণ্য। তাই পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন বৃদ্ধ। সবুজ বাঁচানোর লড়াইয়ে প্রাণপাত করেছেন তিনি।

১৯৭৮ সালে বন দফতরের কর্মী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু করেন হিকমেত কায়া। এরপর দীর্ঘদিন ধরে উত্তর তুরস্কের বন দফতরের শীর্ষ কর্তার দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। কাজের সূত্রেই নিজের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হতে দেখেছেন অরণ্য। গাছপালা ধ্বংসের কারণে সবুজে মোড়া ঘন অরণ্য যেন পরিণত হয়েছে মরুভূমিতে। সেই থেকেই পরিবেশ বাঁচানোর জেদ তাড়া করে বেড়াতে শুরু করে তাঁকে।

গাছ বাঁচাতে এক অনন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন হিকমেত। আজ থেকে ঠিক ৪১ বছর আগে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়েই বন্ধ্যা ভূমিতে চারাগাছ রোপন করা শুরু করেন তিনি। কর্মজীবনেই এই কাজ শুরু করেন। এরপর অবসর নেওয়ার পরেও টানা ১৯ বছর লাগাতার বৃক্ষরোপণ চালিয়েছেন তিনি। লাগিয়েছেন প্রায় তিন কোটি গাছ। অরণ্য বাঁচাতে তাঁর এই আপ্রাণ প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি।

হিকমেতের নিজের হাতে লাগানো চারাগাছ বড় হয়েছে ধীরে ধীরে। প্রাণহীন ভূমিতেও দেখা মিলেছে সবুজের। মরুভূমি পরিণত হয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে। দীর্ঘ ৪১ বছরের সুফল নিজের চোখে দেখে আনন্দে আত্মহারা হিকমেত। যেখানে একের পর এক অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে সেখানে নিজে হাতেই গোটা একটা অরণ্যের জন্ম দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইচ্ছাশক্তি ও গভীর অধ্যাবসায়ের দ্বারা যে কোনও স্বপ্নই সফল করা যায়। এই অসামান্য সৃষ্টির জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে বিশ্ববাসী।

হিকমেতের মত আরও বেশ কিছু বিরল মানুষ আছেন যারা অরণ্য বাঁচাতে অনবরত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বছরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে এমনই একজনের নাম। অসমের বাসিন্দা জাদব পায়েঙ্গ নিজে হাতে সবুজায়নের দায়িত্ব নেন। অসমের জোড়হাট জেলায় প্রায় ১৩৬০ একর জমিতে সৃষ্টি করেন সবুজ অরণ্যের। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অসমে সর্ববৃহৎ মনুষ্যসৃষ্ট অরণ্যের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে জাদব পায়েঙ্গের নামই সবার আগে উঠে আসে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন