1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

অবশেষে ১২ বছর পর চালু হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা ইরা বসুর পেনশন! ফুটপাথের জীবন থেকে মুক্তি

১১:২২ পিএম, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথা রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চালু হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা ইরা বসুর পেনশন। ইরা বসুর পেনশনের নির্দেশিকা জারি করে দিল রাজ্যের অর্থ দফতর।

জানা গিয়েছে, ১ মে ২০০৯ অর্থাৎ তাঁর অবসরের সময় থেকেই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। এর অর্থ, মাসিক পেনশনের পাশাপাশি ইরাদেবী বকেয়া টাকাও পাবেন। সূত্রের খবর, খবর যাওয়ার তিনদিনের মধ্যেই রাজ্য অর্থ দফতরের তরফেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মেয়ে সুচেতনা ভট্টাচার্যকে নমিনি করা হয়েছে ইরাদেবীর পেনশনের।

আপাতত ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা করে পেনশন পাবেন ইরা বসু। এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, ১ মে থেকে অর্থ দফতরের নির্দেশিকা কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই ইরা বসুর ব্যাপারে নজর ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক যে বিষয়টি তদারকি করছিলেন, সে কথা নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন খোদ ইরাদেবীও।

অভিষেকের প্রতিনিধিরাই ইরাদেবীকে পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। গোটা বিষয়টি দেখে, দ্রুত যাতে ইরাদেবী তাঁর প্রাপ্য পেনশন ও গ্র‌্যাচুইটি পান, সে বিষয়ে সক্রিয় হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন অর্থ দফতর তাঁর প্রাপ্য পেনশন ও গ্র‌্যাচুইটির টাকা দেওয়ার অনুমোদন দেয়।

[caption id="attachment_32762" align="alignnone" width="1238"] ইরা বসু[/caption]

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই লুম্বিনি পার্ক থেকে খড়দহে ফেরানো হয় ইরা বসুকে। তাঁর ঠাঁই হয় পানিহাটি পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম কাউন্সিলর সুদীপ রায়ের বাড়িতে। ইরাদেবী সংবাদ মাধ্যমের কাছে বারবারই দাবি করে এসেছেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এটা পরিষ্কার যে, পেনশনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন ইরাদেবী। তাঁর সেই আশা এবার পূর্ণ হল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খড়দহের প্রিয়নাথ গার্লস স্কুলের জীবনবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ইরাদেবী সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘকাল। কখনও নিজের আত্মীয়তা সূত্রে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে হৃদ্যতাকে সর্বসমক্ষে বড় করে দেখাননি। তবে, কোন অভিমানের কারণে তিনি সল্টলেকের বিরাট বাড়ি, খড়দহের আস্তানা ছেড়ে ডানলপের রাস্তার ধারে থাকতে শুরু করেছিলেন, তা আজও সকলের অজানা। ইরাদেবী অবশ্য এ ব্যাপারে কাউকে দোষারোপ করেন না। উল্টে তিনি বারবার বলেছেন, এ জীবন তিনি স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন। আবার এরই পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আবার তিনি ফিরতে চান, একথাও বলেছিলেন। অবশেষে নতুন করে আর্থিক স্বনির্ভরতা ইরাদেবীকে ফের একবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেবে, এমনটাই আশা সকলের।