1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে, মাস্ক পরা নিয়ে নয়া পরামর্শ কেন্দ্রীয় সরকারের!

১০:৩২ পিএম, এপ্রিল ২৬, ২০২১

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশব্যাপী ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও শক্তিশালী হয়ে আছড়ে পড়েছে দেশের উপর। বিপর্যস্ত দেশ। চারিদিকে স্বজন হারানোর কান্না। শ্মশানে শ্মশানে সারি সারি মৃতদেহ।

এই জটিল পরিস্থিতিতে, এবার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরের ভিতরেও মাস্ক পরতে হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে, সোমবার। এর সঙ্গে এখন বাড়িতে বাইরের কাউকে না ডাকা এবং অযথা বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যদিও করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হতেও বারণ করা হয়েছে। এর কারণ, অযথা আতঙ্কিত হলে ক্ষতিই হয়, বলছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, দেশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। তবে, সেগুলি পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে এখনও।

https://twitter.com/PTI_News/status/1386644530124918787

এদিকে দেশব্যাপী অক্সিজেনের হাহাকার দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিন অনেক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এরই মধ্যেই দিল্লির সরকার অভিযোগ করেছে যে, তাদের জন্য কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ করা অক্সিজেন রাজ্যে পৌঁছাবার আগেই, অন্য রাজ্য মাঝপথে আটকে দিচ্ছে। এর জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যাতে দিল্লিতে সঠিক সময়ে অক্সিজেন এসে পৌঁছায় এবং অস্কিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

এরই মাঝে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে, দেশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। কিন্তু অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে সেগুলিকে সঠিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অক্সিজেন পরিবহনের জন্য ট্যাংকার কেনা বা ভাড়া নেওয়া হলেও সেগুলিকে সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছে দিতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় রেল এবং ভারতীয় বায়ুসেনা অক্সিজেন ট্যাঙ্কার স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিমান বাহিনীর বড় বড় মালবাহী প্লেনে করে খালি ট্যাঙ্কার অক্সিজেন প্লান্টে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আবার অক্সিজেন-সহ ওই গোটা ট্যাঙ্কার নির্দিষ্ট স্টেশনে নিয়ে যাচ্ছে রেল। সেখান থেকে তা সড়কপথে হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা এক নোটিশ জারি করে জানিয়েছেন যে, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার চাইলে, সংক্রমিত এলাকায় নিজেদের মতো করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। এর পাশাপাশি যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে বেশি মানুষের একসঙ্গে জমায়েতও যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্র আরও উল্লেখ করেছে যে অনেক মানুষ আতঙ্কের বশে হাসপাতালের বেড দখল করছেন এবং তাঁদের শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, শারীরিক দূরত্বের বিধি না মানলে, একজন ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারে। এই মুহূর্তে মারণ করোনা যেসব রাজ্য গুলিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, গুজরাট এবং তামিলনাড়ু।