বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডে প্রয়াত। অন্যদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাই মন্ত্রিসভায় যে রদবদল হতে পারে সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সোমবার সেই বিষয়েই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে না। এর পরিবর্তে মন্ত্রিসভা পেতে চলেছে ৫-৬টি নতুন মুখ। এছাড়াও দফতর হারাতে চলেছেন ৪-৫ জন। তাঁদের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘অনেকে অনেকরকম খবরের কাগজে লিখছেন। মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুনভাবে গড়া হবে এমন কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে একটা রদবদল করতে হবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। এদের কাজগুলো কে করবে? কাউকে না কাউকে তো করবে হবে? বেশ কয়েকটি মন্ত্রীপদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সুব্রতদা পঞ্চায়েত দেখেতেন, পিএইচই দেখতেন, সাধন পান্ডে সেলফ হেল্প গ্রুপ দেখতেন, পার্থ ইন্ডাস্ট্রি দেখতেন। পরশু বিকেল চারটেয় একটা ছোট রদবদল ঘোষণা করা হবে। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন এমন ৪-৫ জনকে দলের কাজ লাগাব। নতুন ৫-৬ জনকে নিয়ে আসা হবে।”
কিন্তু মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব থেকে কারা অব্যাহতি পেতে চলেছেন? নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রীসভায় কাদেরই বা দেখা যাবে? এই নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারের আগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যাবে না। তবে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যের তালিকায় বাবুল সুপ্রিয়, তাপস রায় এবং পার্থ ভৌমিকের নাম থাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই জল্পনায় কোনওরকম শিলমোহর দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর দফতর সামলাচ্ছেন পুলক রায়। সাধন পান্ডের প্রয়াণে তাঁর দফতর সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন মানষ ভুঁইয়া। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁর হাতে থাকা যাবতীয় দফতর সামলাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হাতে থাকা দফতরগুলি আগামী বুধবার নতুন সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে খবর।
এছাড়াও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাতটি জেলার নাম ঘোষণা করেছেন। জেলাগুলি হল, সুন্দরবন, ইছামতি (উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা ও বাগদা), বসিরহাট, রানাঘাট, বিষ্ণুপুর, বহরমপুর, জঙ্গিপুর এবং কান্দি। গোটা রাজ্যের পরিকাঠামো এবং আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি সাধনের জন্যই সাতটি জেলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এর ফলে কর্মসংস্থানের হারও ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।