1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

চরম আর্থিক দুরাবস্থায় কাটছে দিন! পর্দার প্রথম মহিষাসুরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সায়নী

আত্রেয়ী সেন

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৫:২১ পিএম

চরম আর্থিক দুরাবস্থায় কাটছে দিন! পর্দার প্রথম মহিষাসুরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সায়নী

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রুপোলি পর্দায় মহিষাসুর হিসেবে সারা জাগানো অভিনেতা অমল চৌধুরীকে মনে পড়ে! সেই অভিনেতা অমল চৌধুরীর বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে কাটছে দিন। সেই আর্থিক দুরাবস্থার কথা মিডিয়া সূত্রে জানতে পেরেই, শারদ উৎসবের প্রাক্কালে, তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, তাঁর মতন শিল্পীকে সাহায্য করা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। এই উদ্দেশ্যে রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস ও বারাসাত সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা অভিনেতা অমল চৌধুরীর কাছে পৌঁছে যান এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। পুজোর আগেই অভিনেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সামান্য কিছু উপহার।

একসময় মহালয়ার দিন ভোরে টিভি খুললেই, তিনি অসুররূপে সামনে আসতেন। সেই সময়টায় ইন্টারনেট বা মোবাইলের রমরমা ছিল না। এরপর যতদিন এগিয়েছে, টিভি থেকে রেডিরও প্রচলন কমেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই টিভির বিখ্যাত অমল চৌধুরী ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছেন। টিভির অমল অসুরের কথা ভুলে গিয়েছে মানুষ। মূলত পেশীবহুল চেহারার জন্যই দূরদর্শনে অনুষ্ঠিত মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানে অসুরের ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু বহু বছর কেউ আর তাঁর খোঁজ রাখেনি। চরম আর্থিক সঙ্কট এবং অসহায়তার মধ্যে দিন গুজরান হচ্ছে টিভির এই অসুরের।

দু’জন টেকনিশিয়ানের নজরে এসে রুপোলি পর্দার যাত্রা শুরু হয়েছিল অমলচন্দ্র চৌধুরীর। তাঁর বিরাট চেহারা দেখে ভয়ে কাঁপত ছোটরা। সেই বিশালাকার পেশীবহুল অসুররূপী অশোকনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমলচন্দ্র চৌধুরী একসময় দর্শকদের মন জয় করলেও, আজ তাঁরই অতি কষ্টে দিন কাটছে। শুধু যে মহালয়ার অনুষ্ঠান তাই নয়, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্য কাজও করেছেন তিনি। প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করলেও, আজ সকলের চোখের আড়ালে কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তিনি।

গত ১০ বছরে অশোকনগরে ‍‍‘অসুর অমল’  নামে পরিচিত অমল চৌধুরী স্টুডিয়ো পাড়া থেকে কোনও ডাক পাননি। আর্থিক অনটনের জেরে অভিনয়ের পরিবর্তে রঙ- তুলি হাতে তুলে নিয়েছেন। অতীতের সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে, আজও মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। অমলবাবুর দিদি শোলার কাজ করেন। আত্মীয়রাই কষ্টের দিনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। একসময় সংসার ভালোই চলত। আজ চলে অতি কষ্টে। একসময় যারা রোজই প্রায় বাড়ি আসতেন আজ তাঁরাই আর ফিরে দেখেন না।

অসুররূপী অমল চৌধুরীকে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর জীবনের গল্প অত্যন্ত বেদনার। এখনও মেলেনি কোনও সরকারি সুবিধা বা সাহায্য। বাড়িতে দিদির সঙ্গেই থাকেন। সামান্য রংতুলির কাজ আর শোলার কাজ করে দিন কাটে পরিবারের। আগামীদিনে কীভাবে দিন গুজরান হবে, সেই চিন্তায় ঘুম আসতে চায় না দুচোখে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন