1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

অধিবেশনের প্রথম দিনেই উত্তাল বিধানসভা! শাসকদলকে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর

০৪:৩৩ পিএম, জুলাই ২, ২০২১

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধানসভা প্রথম দিনের অধিবেশনেই উত্তপ্ত পরিবেশ। বিজেপি বিধায়কদের ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ভাষণ অসম্পূর্ণ রেখেই, সভাগৃহ ত্যাগ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই প্রসঙ্গে পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন যে, রাজ্যপালের ভাষণে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও উল্লেখ ছিল না। উল্টে সরকারের লেখা ওই ভাষণে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলোকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলনে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, রাজ্যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার।

আর তাই বিধানসভার অধিবেশনেই শুরুতেই বিপত্তি। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হতেই, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা। আর এর জন্যই মাত্র ৪ মিনিট ভাষণ দিয়েই, বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে, ‘আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। রাজ্যপালের ভাষণের যে বক্তব্য রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছিলেন, তাতে ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও উল্লেখই নেই। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর, আমাদের ৪১ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উল্টে বলা হয়েছে, নতুন সরকার গঠনের আগেই হিংসা। এই দায় নির্বাচন কমিশনের। হিংসার কথা উল্লেখ করা হলে, আমরা প্রতিবাদ করতাম না।’

শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিরোধীদের রাজ্য থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েমের চেষ্টা চলছে। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়, ২ মাস হয়ে গেল কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। এই সংক্রান্ত মামলাগুলোকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন যে, ‘রাজ্যপালের ভাষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের লিখে দেওয়া ভাষণ। রাজ্যে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর, একাধিক মহিলার উপর অত্যাচার হয়েছে। সেই ছবিগুলো দেখালাম। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই প্রতিবাদ করেছি। আমরা স্লোগানের মাধ্যমে আমাদের ব্যথা-বেদনা প্রকাশ করেছি। তবে আমাদের বিধায়করা অধিবেশনে অংশ নেবেন। সোমবার শোকপ্রস্তাবে যোগ দেব। রাজ্যে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা হোক।’

আবার রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এর আগে, তার জন্য এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, বিধানসভায় আগামিদিনেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সারা দিনের আলোচনা চাইবে বিজেপি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সরকার গঠনের শুরু থেকেই রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই দুই তরফের সংঘাতে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। আর এবার বিধানসভার অধিবেশন এই বিষয়কে কেন্দ্র করে, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল।