1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

জীবনানন্দের রহস্যময়ী 'বনলতা সেন' আদতে কে ছিলেন? তিনি কি আদৌ বাস্তব নাকি কল্পনা?

০৯:২৯ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১

বনলতা সেনকে চেনেন না এমন বাঙালি পাওয়া দুষ্কর। আপামর বাঙালির রোমান্টিসিজমে জড়িয়ে আছে যার নাম তিনি 'বনলতা সেন'। কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা বনলতা সেন বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম সম্পদ। কিন্তু কে এই বনলতা সেন? বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা হল ‘বনলতা সেন’। কবির এই অমর সৃষ্টির অনুপ্রেরণা কাকে ঘিরে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কবির জীবনে বনলতা সেন নামে কেউ আদৌ ছিলেন কিনা, বা কবির এই চরিত্র সৃষ্টির অনুপ্রেরণা ঠিক কে? তা নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। এমনকি তাঁর কবিতার প্রতিটি ছত্র বিশ্লেষণ করে বনলতা সেনকে খোঁজার চেষ্টাও চালিয়েছেন বহু পাঠক। কবির মতে, ১৯৩২ সালের কাছাকাছি আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘বনলতা সেন’ নামে এক বন্দীর খবর ছাপা হয়েছিল। তাঁর বিখ্যাত কবিতার নামটির সূচনাও হয়েছিল তা থেকেই। বনলতা সেন কবিতাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বনলতার সঙ্গে নাটোর শহরের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই শহরটি দীর্ঘকাল ধরে পতিতাদের সবচেয়ে বড় এক কেন্দ্র ছিল। কবি এই শহরে কখনও গিয়েছেন কি জানা যায়নি। তবে এই শহর যে তার কবিতার এক বড় অঙ্গ তা অস্বীকার করার উপায় নেই। হয়তো কবি তার কবিতার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এই শহরেই কোনো এক মহিলার কাছ থেকে। তাঁকেই তিনি বনলতা সেন বলে চিহ্নিত করেছেন তাঁর কবিতায়। এছাড়াও দিনলিপি ঘেঁটে কবির দিল্লীতে পতিতালয় যাওয়ার নিদর্শনও পাওয়া যায়। অতএব নেওয়া যায় যে, বনলতা সেন হয়তো কোনো দেহ পসারিণীই। যার অনুপ্রেরণায় সৃষ্ট চরিত্রটিকে কবি রোমান্টিসিজমের মোড়কে হাজির করেছিলেন। বনলতা সেনকে কেউ কেউ পতিতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ বা বলেছেন তার বাস্তবে কোনো অস্তিত্বই নেই, এটি শুধুই কবির কল্পনা। আবার কেউ কেউ তাঁকে কবির এক প্রেমিকা শোভনার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। শোভনা ছিলেন জীবনানন্দের খুড়তুতো বোন। দুজনেই দুজনকে ভীষণ ভালোবাসতেন। কিন্তু সামাজিক বাঁধা-নিয়মের কথা মাথায় রেখে তাঁদের এই সম্পর্ক কোনো পরিণতি পায়নি। তবে বাকি জীবনে কবি শোভনাকে কখনই ভুলতে পারেননি। তার ফলে পারিবারিক জীবনেও খুব একটা সুখী হতে পারেননি তিনি। তাই বলা যেতে পারে, জীবনের সব লেনদেন শেষ করে কবিতার নায়কের মতোই কবি নীড়ে অর্থাৎ নিজের ঘরে ফিরে গেলেও কবির সেই না পাওয়া প্রেমই বনলতা সেন হয়ে ফিরে এসেছিল তাঁর লেখার মাধ্যমে। সেই বনলতা সেনই হয়তো বা কারোর চোখে এক পতিতা আবার কারোর চোখে কবির না পাওয়া প্রেম হিসেবে ধরা দিয়েছে বারবার। তাই বনলতা সেন আসলেই কে ছিলেন তাঁর সঠিক ব্যাখ্যা হয়তো আজও পাওয়া যায় না। সাহিত্যপ্রেমীদের চোখে তিনি হয়তো এক অধরা রহস্যময়ী নারী হয়েই থেকে যাবেন চিরকাল।