বর্তমানে অনলাইন শপিং যেন জল-ভাত! বেশিরভাগ মানুষই এখন কোনও জিনিস কিনতে অনলাইনের ওপরই ভরসা রাখেন। তবে সব সময়ই যে তাঁরা সঠিক জিনিস হাতে পান তা কিন্তু নয়! এক জিনিসের পরিবর্তে হাতে আসছে অন্য জিনিস, এমন ঘটনাও আকছারই ঘটছে। এবার শপিং করতে গিয়ে সেরকমই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা৷
ভাইয়ের জন্য অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিলেন দামী ঘড়ি৷ কিন্তু বাড়িতে এল ঘুঁটে৷ এমনই অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী এলাকার কাসেন্দা গ্রামের বাসিন্দা নীলম যাদবের। ফ্লিপকার্টে ঘড়ি অর্ডার করে তিনি ঘুঁটে পেয়েছেন তিনি। ৷
নীলম জানিয়েছেন অনলাইন অ্যাপে শপিং ফেস্টিভ্যাল চলছিল৷ সেখানেই নীলম তাঁর ভাই রবেন্দ্রর জন্য ঘড়ি অর্ডার করেন৷ কিন্তু তারপর যা আসে তা দেখে মাথায় হাত তাঁর। ওই মহিলার কথায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঘড়ি অর্ডার করেন তিনি। এরপর ৭ অক্টোবর তাঁর কাছে ফ্লিপকার্ট থেকে আসে জিনিসটি৷ ক্যাশ অন ডেলিভারি ছিল। ১৩০৪ টাকা দিয়ে সেই অর্ডারের জিনিসটি নেন তিনি।
পরে সেদিনই ভাই রবেন্দ্র দিদির দেওয়া উপহারের মোড়ক খোলেন৷ এর পরই তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান৷ দেখেন উপহারের বাক্সে ঘড়ির বদলে আছে চারটে ছোট ছোট ঘুঁটে! ঘড়ির বদলে ঘুঁটে পেয়ে রবেন্দ্রও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন৷ তিনি সোজা ফোন করেন ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি বয়কে৷ তাঁকে ধাওয়া করে রবেন্দ্র পৌঁছন চেইল শহরে৷ তিনি জানিয়েছেন ভুল স্বীকার করে তাঁদের কাছ থেকে ঘুঁটে ফিরিয়ে নিয়েছেন ডেলিভারি বয়৷ ফিরিয়ে দিয়েছেন ঘড়ির টাকাও৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার জিনিস কিনে খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সেবার অনলাইনে একটি স্পিকারের অর্ডার দেন মিমি। যার দাম প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার। অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন থেকে সেটি অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু অর্ডারটি হাতে পেয়ে মিমি দেখেন, বদলে এসেছে অন্য আরেকটি স্পিকার। যার দাম `মাত্র` ২৯ হাজার ৯৯৯। অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজারের কম দামী স্পিকার এসেছে তাঁর কাছে। এরপরই চূড়ান্ত হতাশ হয়ে টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেত্রী। অ্যামাজনকে ট্যাগ করেই অর্ডার আইডি শেয়ার করে অভিযোগ জানান তিনি। যদিও অ্যামাজনের তরফ থেকে এরপর গোটা ঘটনাটির জন্য দুঃখপ্রকাশও করা হয়।