1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বিদ্যুতের বিল দেওয়া নিয়ে বিবাদের জের! শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করল ছেলে

আত্রেয়ী সেন | তনুজ জৈন

আগস্ট ৭, ২০২২, ০৪:১৭ পিএম

বিদ্যুতের বিল দেওয়া নিয়ে বিবাদের জের! শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করল ছেলে / প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ সামান্য বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। যার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। অভিযোগ, এই বিবাদের জেরেই বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ছেলে। এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরের ইমাম জাইগির গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম মোজাহার শেখ, বয়স ৬২ বছর। মৃত মোজাহারের অভিযুক্ত ছেলের নাম সেন্টু শেখ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সেন্টু শেখ। এদিকে, ইতিমধ্যেই মোজাহার শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঠিক কী ঘটেছিল? পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মৃত মোজাহার শেখের সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে সেন্টু শেখের বিবাদ হয় বিদ্যুতের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর, গত তিন মাসে মোট ৩ হাজার ২০০ টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছিল মোজাহারদের। এই বিলের টাকা সেন্টু শেখ তাঁর বাবাকে মিটিয়ে দিতে বলে। কিন্তু তাতে একেবারেই রাজি হননি মোজাহার। উল্টে তিনিই ছেলেকে বিলের টাকা দিয়ে দিতে বলেন। 

এরপরই গণ্ডগোলের শুরু। অভিযোগ, বাবা-ছেলের মধ্যে বচসা শুরু হলে, ছেলে সেন্টু শেখ বাবাকে মারধর শুরু করে। এরপর শ্বাসরোধ করে বাবা মোজাহার শেখকে খুন করে। পরিবারের আরও দাবি, ঘটনার পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সেন্টু শেখ। 

এদিকে, এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। সেন্টু শেখের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে, যেভাবে সামান্য বিদ্যুতের বিল নিয়ে বচসা এবং তার জেরে বাবাকে প্রাণে মেরেছে ছেলে, সেটা গ্রামের মানুষকে হতবাক করেছে। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এদিকে, এই ঘটনার পর শোকে ভেঙে পড়েছে মোজাহার শেখের গোটা পরিবার।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন