বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির নবান্ন অভিযানের রেশ এখনও কাটেনি। এখনও বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এই অভিযানে দলের কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে যে ‘উদ্যম’ দেখেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা, সেটা স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে উৎসাহ জুগিয়েছে তাঁদের। এমনকি নবান্ন অভিযানের আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্তও।
নবান্ন অভিযানের পর দিল্লি থেকে ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে আহত নবান্ন অভিযানে দলীয় নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলন, তাঁদের লড়াই… শীর্ষ নেতৃত্ব দেখেছেন।
এদিকে, নবান্ন অভিযানের পর বিজেপির নিচু তলার কর্মী এবং সমর্থকরাও নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। সেই কথা এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা থেকেই স্পষ্ট। বং বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘নবান্ন অভিযানের পর বহু বসে যাওয়া কর্মী আবারও সক্রিয় হয়েছেন। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমাদের মন বড়। তাই সবাইকে নিয়েই বিজেপি পরিবার চলবে।’
এর পাশাপাশি আগামী দিনে বিজেপির পক্ষ থেকে আরও যেসব কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সবেরও একটি আগাম আভাস দিয়েছেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মুখে শোনা গেল, জোড়া কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘দুটি আন্দোলনকে আমরা সামনে নিয়ে চলছি। আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন হবে এবং আমরা জেল ভরাতে অংশগ্রহণ করব। বিজেপি কর্মী, সমর্থক, নেতারা আইন অমান্য করে গ্রেফতারি বরণ করবেন। কোথাও জেলা পরিষদ ঘেরাও করে, কোথাও জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও করে, কোথাও পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে আইন অমান্য করা হবে।’ এখানেই শেষ নয়, সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘কৃষকদের দুর্দশার কথা এবং কৃষকদের ফসলের দাম না পাওয়ার ইস্যুকে সামনে নিয়ে দলের কৃষক মোর্চা আলাদা করে আন্দোলনে নামবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদেই এবার জোরদার আন্দোলনে নামতে শুরু করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার সেই কথাই স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।