1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

শহর কলকাতায় ছট পুজো উপলক্ষে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? জানালেন ফিরহাদ

০৪:০৪ পিএম, নভেম্বর ৯, ২০২১

কলকাতা, নিজস্ব প্রতিনিধি: ছট পুজোর আগে প্রস্তুতি চরমে। ছট পুজোর আগে ঘাট পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবরে সবার জন্যই প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ব্যানার সরোবরের সামনের গেটে টাঙিয়ে দেওয়াও হয়েছে। এই ঘাটের পরিবর্তে বিকল্প কোন কোন ঘাটে পুজো করা যাবে, তারও তালিকা তাতে দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কলকাতার দূষণ তাতে অনেকটাই রোখা সম্ভব হয়। এবছর আরও কড়া পুলিশ প্রশাসন। যাতে কেউ নিয়ম ভাঙতে না পারেন, তার জন্য কড়া পাহারা দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়েছেন, ছট পুজো উপলক্ষে শহর কলকাতায় ১৩২ টি ঘাটকে তৈরি রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আটটি ওয়াটার বডি তৈরি করা হয়েছে মানুষের সুবিধার্থে। ছট পুজো উপলক্ষে রেলের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে, রেল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সারকুলার রেল শহর কলকাতায় চলবে না। এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছট পুজো উপলক্ষে প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত লাইট, জামাকাপড় চেঞ্জিং রুম, টয়লেট থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে, যাতে সকলেই পূজায় অংশগ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়েও মাইকিং করা-সহ নানান ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানান ফিরহাদ হাকিম।

ন্যাশানাল গ্রীন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, সেই সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ছট পুজো উপলক্ষে। এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, ছট পূজা এবং গঙ্গার দূষণ সম্পর্কে বলেন, যেহেতু বিভিন্ন ফল যেমন- আখ, কলা, নারকেল এর মতন ন্যাচারাল জিনিস গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তা গঙ্গার জলে ধোয়া হয়, তাই তা থেকে গঙ্গার জল দূষিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তা সত্ত্বেও গ্রিন ট্রাইবুনাল এর কথা মাথায় রেখে, রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভা গুরুত্বসহকারে বিভিন্ন ব্যবস্থাদি পাকা করেছে বলেও জানান ফিরহাদ।

রাজ্যের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছট পুজো উপলক্ষে কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানোর অনুমতি রয়েছে।

মুড়িমুড়কির মতো বাজি ফেটেছে শহর জুড়ে কালীপুজো উপলক্ষে। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল, কোনও শব্দ বাজি পোড়ানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞা ছিল বাজি পোড়ানোর ওপর। কিন্তু কোথায় কী! কলকাতা, সল্টলেক, হাওড়া এমনকি শহরতলিতেও যথেচ্ছ বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ। ছট পুজোতেও বাড়ে দূষণের মাত্রা। তাই ঘাটগুলিতে যাতে আদালতের নির্দেশ মেনেই বাজি পোড়ানো হয়, এবার সেদিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন।