বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাতসকালেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো উত্তরবঙ্গ! কম্পন অনুভূত রাজ্যের একাধিক জেলায়

০৯:৪১ এএম, এপ্রিল ২৮, ২০২১

সাতসকালেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো উত্তরবঙ্গ! কম্পন অনুভূত রাজ্যের একাধিক জেলায়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদ-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭ টা ৫১ মিনিটে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা এতোটাই বেশি ছিল যে, রীতিমতো ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। বিপদের আঁচ পেয়ে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। যারা সেই সময় রাস্তায় ছিলেন, তাঁরা আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি শুরু করেন। শুধু বাংলাতেই নয়, এদিন ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে অসমেও।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ডের। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪। তীব্রতাও যথেষ্টই ছিল। এও জানা গিয়েছে যে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অসমের সনিতপুর, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১.৪ কিলোমিটার নিচে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয়েছে গুয়াহাটিতে। এই দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা আরও বেশি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গুয়াহাটি থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে। এই কম্পনের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও পরিমাণ জানা যায়নি। আফটার শকের প্রবণতা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন ভূতত্ববিদরা।

https://twitter.com/ANI/status/1387234929247850499

কোচবিহার জেলায় বেশ অনেকক্ষণ ধরে কম্পন অনুভব করেন সেখানকার বাসিন্দারা। অনেকেই দৌড়ে রাস্তায় ছুটে আসেন। ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সাত সকালে বাজার করতে এসে থমকে দাঁড়ান সকলে। যানবাহন চলাচল থমকে যায় সময়ের জন্য।

এদিকে কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতাতেও। নিউটাউন-রাজারহাট অঞ্চলে বহুতলের আবাসিকরা কম্পন অনুভব করেন। আতঙ্কে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরা রাস্তায় চলে আসেন। আতঙ্ক ছড়ায় একাধিক বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যেও। তবে এখানে কম্পনের মাত্রা কম ছিল।

এই কম্পনের পর, এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, অসমের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলা জানা গিয়েছে। এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও গত ১৭ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখনও উৎসস্থল ছিল অসম।