বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

অতি ক্ষুদ্র শিল্পকলা! বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির সুবাদে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠল এই যুবকের

০৭:৩৬ পিএম, মার্চ ৩, ২০২১

অতি ক্ষুদ্র শিল্পকলা! বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির সুবাদে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠল এই যুবকের

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ আয়তনে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বা বড়, অনেক ক্ষেত্রেই আকার এবং আয়তনের কারণে অনেক কিছু মনে থেকে যায়, খবরের শিরোনামে আসে। সম্প্রতি তেমনই উদাহরণ সামনে এল। বিশ্বের সব থেকে ছোট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরি করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চিতুর জেলার তাপালা নাদামুনি। আর সেই অনন্য শিল্পসৃষ্টির সুবাদেই গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠল তাপালা নাদামুনির।

তাপালা অন্ধ্রপ্রদেশের চিতুরের একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা, বয়স ২১ বছর। ছোট থেকেই একটু অন্য ধরনের জিনিস নির্মাণের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। আর সেই আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে নানা ধরনের জিনিস তৈরি করতে শুরু করেন তরুণ তাপালা। আর তাঁর এই নির্মাণের সূত্রেই পরবর্তীকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (National Institute of Technology) সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপরই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার নিয়ে তাঁর কাজ শুরু হয়ে যায়।

প্রথমে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর 7V (DC) মোটর ব্যবহার করে একটি ২.২ cm ও ০.৯ ইঞ্চি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরি করেন তাপালা। এই নির্মাণের ক্ষেত্রে পেনের ক্যাপ, জাল, রবার-সহ নানা ধরনের জিনিস ব্যবহার করেছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি ছোট জালের টুকরো দিয়ে ফিল্টার তৈরি করেন। এরপরের ধাপে, মোটরকে ধরে রাখার জন্য রবার ব্যবহার করেন। একইভাবে ক্লিনারের প্রোপেলারের জন্য মেটাল শিট ও ক্লিনারের নব বানাতে সিরিঞ্জ ব্যবহার করেন।

এর পাশাপাশি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে যাতে পাশ থেকে হাওয়া না ঢোকে, তার ব্যবস্থাও করেন। সেই জন্য রবার টেপ দিয়ে ফাঁকা জায়গাগুলিও ভালো করে মুড়ে দেন তিনি। এইভাবেই ধাপে ধাপে একটি ছোট্ট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বানিয়ে ফেলেন। উল্লেখ্য, এটিও সেই সময়ের প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্রতম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ছিল।

অন্যদিকে, এবার তাপালা ফের নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন। এবার নির্মাণ করে ফেলেছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। একই মোটর অর্থাৎ 7V (DC) মোটর ব্যবহার করে একটি ১.৭ cm ও ০.৭ ইঞ্চি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরি করেছেন তিনি।

এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাপালা নাদামুনি জানিয়েছেন যে, লকডাউনের সময় থেকেই এই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরি করা নিয়ে তিনি গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে তাঁর যাবতীয় পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা পেয়েছে তাঁর এই সৃষ্টি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পেরে এক আলাদা অনুভূতি হচ্ছে। তাঁর এই কাজে বাবা-মা ও অধ্যাপকরা সব সময় পাশে থেকেছেন বলেও জানিয়েছেন তাপালা।

আর তাপালার এই সাফল্যে তাঁর বাবা-মা জানিয়েছেন যে, ছেলের সাফল্যে তাঁরা অত্যন্ত গর্বিত। তবে, তাঁদের বক্তব্য ছেলের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সম্পর্কে সত্যিই কিছু জানেন না তাঁরা। আশেপাশে এমনকি গ্রামের সবাই বলছে, ছেলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। যেটা শুনেই ভাল লাগছে তাপালার বাবা-মার!