শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়! প্রস্তুতি সারতে আগাম বৈঠক সদ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রীর

১০:১৭ পিএম, মে ১৩, ২০২১

রাজ্যে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়! প্রস্তুতি সারতে আগাম বৈঠক সদ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রীর

রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চায় রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন সদ্য নিযুক্ত বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।রাজ্যের বিদ্যুতের হাইটেনসন লাইন ছিড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটলে তার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর বলে জানা গিয়েছে।

কয়েকদিনের গরম দাবদাহ কাটিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে শহর থেকে জেলা। আগামী ৩-৪ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হওয়া অফিসের তরফে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগামীকাল হাওয়া অফিস আরও জানাচ্ছে, ১৪ তারিখ উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা ১৬ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পাশাপশি, ১৪ ও ১৫ মে কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গোয়ার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় ভারী বৃষ্টির জেরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।অন্যদিকে, বাংলার উত্তরের উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং দক্ষিণের পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় আজ এবং আগামী ৩-৪ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি, ১১তারিখ রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিইএসসির তরফ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে, সেই নিয়ে বিশেষ একটি কমিটি গঠন করছে বিদ্যুৎ দফতর। এই কমিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

অন্যদিকে, এদিন গত মঙ্গলবার বৃষ্টির জেরে কলকাতাবাসির কাছে অপমানিত হতে হয়েছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন কলকাতা পুরসভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য তারক সিং। গত মঙ্গলবার মুষল ধারে বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গিয়েছিল। যার জেরে নাজেহাল হতে হয় শহরবাসীকে।

এই প্রসঙ্গে তারক বাবু বলেন, "কলকাতা কর্পোরেশন ডিজি শান্তনু ঘোষ কি করছিলেন ? বৃষ্টির সময় ম‍্যানহোল কেন খোলা হয় নি। এই দফতরে ১৬০ জন কর্মী বৃষ্টির সময় কোথায় ছিলেন। তাদের কি কাজ ছিল"। এই সকল প্রশ্ন তুলে যাবতীয় তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিজি কাছে রিপোর্ট তলব করেন তিনি তারক সিং।