শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মাদক কাণ্ডে অবশেষে জামিনে মুক্ত আরিয়ান! দিওয়ালির আগেই মন্নতে ফিরবেন শাহরুখ-পুত্র

০৬:৫৭ পিএম, অক্টোবর ২৮, ২০২১

মাদক কাণ্ডে অবশেষে জামিনে মুক্ত আরিয়ান! দিওয়ালির আগেই মন্নতে ফিরবেন শাহরুখ-পুত্র

অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন মাদক কাণ্ডে আটক আরিয়ান খান। বৃহস্পতিবারই শাহরুখ-পুত্রের জামিল মঞ্জুর করল বম্বে হাইকোর্ট। তবে জামিন মিললেও আজই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না আরিয়ান। আগামী কাল বা পরশু তাঁকে জেল থেকে ছাড়া হবে। ফলে দিওয়ালির আগেই মন্নতে ফিরতে পারবেন বাদশা-পুত্র।

সুত্রের খবর, মঙ্গল ও বুধবার বম্বে হাই কোর্টে শুনানি শুরু হওয়ার পর আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আদালতে এনসিবি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আরিয়ান খানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। মাদক মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন আরিয়ান। জামিনে মুক্ত হলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। এরপরই আরিয়ানের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন মুকুল রোহিতগি। তিনি দাবি করেন ষড়যন্ত্র করে আরিয়ানকে ফাঁসানো হয়েছে।

বুধবার ফের রিমান্ডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকার অভিযোগ আনেন আরিয়ানের আইনজীবী। পাশাপাশি অ্যারেস্ট মেমোতে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করার সত্য ও সঠিক কারণ উল্লেখ করা নেই বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। ওইদিন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার আইনজীবীর পক্ষের কথা শোনার পরই তিন অভিযুক্তের জামিনের শুনানি ফের স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের শুরু হয় শুনানি। বিচারপতি নিতিন সাম্বরের সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে দুই পক্ষই নিজেদের সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে অবশেষে আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। সঙ্গে এদিন জামিন পান মুনমুন ও আরবাজও।

তবে বৃহস্পতিবার জামিন পেলেও জেলেই রাত কাটাতে হবে বাদশা-পুত্রকে। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, আদালত জামিন দিলেও সেই রায় এখনও হাতে পাননি আইনজীবীরা। রায় হাতে এলেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে তার প্রতিলিপি যাবে আর্থার রোড জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপরই জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন আরিয়ান। জানা যাচ্ছে, শুক্র বা শনিবার বাড়ি ফিরবেন তিনি। অর্থাৎ দিওয়ালির আগেই ছেলে ফেরার খুশি ফিরবে মন্নতের অন্দরে।

অন্যদিকে, মাদক-মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সইল তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তোলায় সমীরের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। এনসিবির আরেক অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুণে পুলিশ। ফলে এই মামলা এখনিই থিতু হচ্ছে না বলেই বোঝা যাচ্ছে৷