বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বৃষ্টি অব্যাহত বাংলায়! শুক্রবার আবহাওয়া পরিস্থিতির আরও অবনতি! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

০৯:০০ পিএম, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

বৃষ্টি অব্যাহত বাংলায়! শুক্রবার আবহাওয়া পরিস্থিতির আরও অবনতি! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এটা আশ্বিন মাস। অথচ আশ্বিনেও বৃষ্টি থামার নাম নেই। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েই চলেছে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হয়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে। এদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে জলযন্ত্রণা। উল্লেখ্য, কলকাতায় সোমবার এত বৃষ্টি হয়েছে যে ১৩ বছরে সেপ্টেম্বরে এত বৃষ্টি কখনও হয়নি৷ সোমবারের প্রবল বৃষ্টির কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকা জলের নিচে৷

রবি এবং সোমবার টানা বৃষ্টির পর, বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমলেও, আবারও অশনি সংকেত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ,গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থাকা নিম্নচাপ এখনও বিদায় নেয়নি, তাই এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভবনা নেই। বাংলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জলমগ্ন। এমনিতেই জেলায় জেলায় চাষের জমি জলের তলায়, লাগাতার বৃষ্টির কারণে। চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কাঁচা রাস্তা এবং মাটির বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে গ্রামগুলিতে।

এদিকে এরই মধ্যে রাজ্যের আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও খারাপ খবর সামনে এল আবহাওয়া দফতরের তরফে। যা এই মুহূর্তে বাংলার জন্য আশঙ্কার বলেই মনে করছে আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার আরও অবনতি হতে চলেছে। আর আগামী রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, প্রধানত নিম্নচাপের জেরেই বাংলায় এতো বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও সেই নিম্নচাপ কাটার কোনও লক্ষ্য নেই।

এদিকে, আগামী শনিবার নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত ২৬ তারিখ তারিখ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবারও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার আরও অবনতি হয়ে রবিবার এবং সোমবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই জানা গিয়েছে।পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বৃষ্টিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘এরকম বৃষ্টি আগে কখনো হয়নি। ত্রিশ বছরে কেউ দেখেনি। গতবছর সাইক্লোন আমফানের বিপর্যয়ের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মমিনপুরে আমরা একটা পাম্পিং স্টেশন বানাব। মানুষের ভোগান্তি যাতে কম হয় তাই এই সিদ্ধান্ত।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘আগে বৃষ্টি হলেই সাতদিন জল জমে থাকত। এখন তো এমন বৃষ্টি তার উপর পূর্ণিমার কারণে ভরা কোটাল। বাংলা নদীমাতৃক জায়গা। আমরা সাড়ে তিন লক্ষ পুকুর কেটেছি যাতে জল গিয়ে ওখানে জমা হয়।’