বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘দিলীপকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব’, তৃণমূলে গিয়ে কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র

০৭:৪২ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

‘দিলীপকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব’, তৃণমূলে গিয়ে কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য নতুন ইনিংস শুরু করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।গতকালই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তৃণমূলে যোগ দিয়ে প্রথমবার এদিন তিনি তৃণমূলের হয়ে মাইক নিজের হাতে তুলে নিলেন। জানালেন, সাত বছর বিজেপিতে থাকার পর, তাঁর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার কারণ। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, আসন্ন ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তিনি কাকে দেখতে চাইছেন। মোদী নাকি বাংলার মেয়ে মমতা? আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ‘বাবুল পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট’, মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বললেন যে, বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় উপহার দেবেন।

উল্লেখ্য, বাবুলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোনদিনও তেমন ভাল ছিল না। বা বলা ভাল এই দুয়ের সম্পর্ক অম্লমধুর। এদিন বাবুলের দলছাড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলে, বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সদ্য দলত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়কে তিনি ‘পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করেন, বাবুলের দলে থাকা বা না থাকায় দলের কোনও লাভ বা ক্ষতি হবে না। এদিন তিনি বলেন, ‘বাবুল পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট, আসবে যাবে। দলে থেকেও লাভ হয়নি, গিয়েও ক্ষতি হবে না।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, বাবুল সুপ্রিয়র বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়াকে বড় করে দেখতে নারাজ তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনিস্টার। দলের হননি কখনও। বন্ধু মানুষ। আগেও বলতাম উনি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তিনি আবেগে করতেন। যা করতেন আবেগে করতেন। যেখানে গিয়েছেন ভাল ভাবে রাজনীতি করুক। শিল্পী মানুষ।’ এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা যেতে চান, তাঁরা যেতে পারেন। তাতে দলের ক্ষতি হবে না। তৃণমূল থেকেও বিজেপিতে ভোটের আগে অনেকেই এসেছিলেন। তাতে তৃণমূলের ক্ষতি হয়নি। আমাদের হবেও না।’

বাবুল প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ওঁ আবেগে চলেন। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা এই ভাবে দল পাল্টালে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বিজেপি লক্ষ লক্ষ মানুষের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। দল দলের মতই চলবে।’

এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর দিলীপের শব্দচয়ন নিয়েও এর আগে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এর আগে বাবুলের রাজনীতি ছাড়া নিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, ‘মাসির গোঁফ হলে মেসো না মাসি বলব, আগে গোঁফ তো বেরোক।’ সেদিকে ইঙ্গিত করে এদিন বাবুল বলেন যে, ‘ইংরেজিতে রয়েছে থারুরের ইংলিশ। পশ্চিমবঙ্গে আবার দিলীপদার বাংলা। ওঁকে বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় উপহার দেব। যাতে বাংলা ভাষাতেই উনি কথা বলেন, বাংলা ভাষাকে কলঙ্কিত বা কলুষিত না করেন। উনি কটাক্ষ করেছেন। আমি ওঁর বক্তব্য পড়িনি।’

দিলীপের রাজনৈতিক পর্যটক কটাক্ষে বাবুলের জবাব, ‘কিছু পর্যটক ঘুরতে গিয়ে ক্যামেরার ছিদ্র দিয়ে পুরো দেশের ছবি তোলার চেষ্টা করে। বাড়ি ফিরে এসে দেখে একটাও ছবি ওঠেনি। আমি যখন যে দেশে যাই ক্যামেরায় ছবি তুলি না। আমি মন দিয়ে দেখি। মনের আয়নায় রাখি ছবি। পর্যটক নানা ধরনের হতে পারে।’