কলকাতায় তৃতীয় 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব' ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কার্যত ছিল চাঁদের হাট।চলচ্চিত্র উত্সবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, চিত্রনায়ক প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য, চিত্রনায়িকা জয়া আহসান ও মুমতাজ সরকার। ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকি (রিয়াজ), মিথিলা প্রমুখ পরিচিত মুখ।
সূত্রের খবর, এতে অংশ নিতে এসেছেন অভিনেতা মহম্মদ জাহিদ হোসেন, অভিনেত্রী শারমিন আখতার নিপা মাহিয়া, মেহের আফরোজ শাওন, প্রযোজক এবনে হাসান খান, নাজনিন হাসান খান, আবু শাহেদ প্রমুখ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
উদ্বোধনী পর্বে 'হাসিনা এ ডটারস টেল' দেখানো হয়। পরবর্তীতে ন ডরাই, গণ্ডই, আয়নাবাজি, জন্মসাথী, কৃষ্ণপক্ষ, জালালের গল্প, দেবী, হাসিনা এ ডটারস টেল, মায়া দ্য লস্ট মাদার, বাপজানের বায়স্কোপ, রাজাধিরাজ রজ্জাক, একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি, কাঙ্গাল হরিনাথ, আবার বসন্ত, ছুয়ে দিল মন, হীরালাল সেন, অজ্ঞাতনামা, সত্ত্বা, মুসাফির, শাটল ট্রেন, ইতি তোমারই ঢাকা, আন্ডার কনস্ট্রাকশন, পদ্ম পাতার জল, ইন্দুবালা, আখি ও তার বন্ধুরা, অন্তর জ্বালা, ফাগুনের হাওয়ায়, ইসমাইলের মা, কাঠবিড়ালি দেখানো হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক এর দায়িত্বে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও স্বপ্না দে।
পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান, "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। ১৯৯১-৯২ সালে করেছিলাম 'পদ্মা নদীর মাঝি'। বাংলাদেশের নানা গ্রামে, পদ্মা-মেঘনায় শুটিং হয়েছিল। অনেকের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের একটা চেহারা দেখেছিলাম। এখন বাংলাদেশের অনেকত চলচ্চিত্র নির্মাতা ভাল কাজ করছেন। নতুন ধরনের ছবি হচ্ছে।"
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতার সহযোগিতায় ৫-৯ ফ্রেবুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্র সদনের নন্দন -১,২ ও ৩ এর প্রেক্ষাগৃহ সমূহে প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা ৫-১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য খোলা থাকবে।