বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রয়াত হলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যাযের। এদিন রাত ৯টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁকে দেখতে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দীপাবলির দিনে সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘এমন আলোর দিনে অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে আমি অনেক দুর্যোগ দেখেছি, কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যু আমার জীবনে সবথেকে বড় দুর্যোগ। সুব্রতার মতো হাসিখুশি, পার্টি অন্তপ্রাণ আর হবে কিনা সন্দেহ আছে।’
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএম হাসাপাতালে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘সুব্রতদার মরদেহ দেখতে পারব না।’ অন্যদিকে, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সুব্রতদার মৃত্যুতে আমরা সকলেই মর্মাহত।’ আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘ সুব্রতদার মৃত্যু সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি।’
এছাড়াও বিরোধী দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কলকাতার মেয়র পরে সুব্রতের উত্তরসূরি বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও ব্যক্তিগত স্তরে উনি কখনও বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেননি। এটা ওঁর চরিত্রের বড় দিক। আমি ওঁর (সুব্রত) পরে মেয়র হয়েছিলাম। সে সময় উনি নানা পরামর্শ দিয়েছেন আমাকে।’
আবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার রাতে সুব্রতর প্রয়াণের খবর শুনে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অনুসারী হলেও আমাদের মধ্যে আদর্শগত মতপার্থক্য ছিল। ওঁর রাজনৈতিক জীবন সত্যিই ঈর্ষণীয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা ছিলেন, উনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।’