শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’

০৩:২৮ পিএম, জুন ১৪, ২০২১

নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’

ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। একবার চার্জ দিলে চলে ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা। মোবাইলের সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড টাইপ ২ চার্জার দিয়ে অনায়াসে চার্জও দেওয়া যায়। তাই যেখানে সেখানে নিয়ে যাওয়ার কোনও সমস্যা নেই। সম্প্রতি এমনই এক ছোট্ট 'পকেট ভেন্টিলেটর' বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী ডা. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়। তার দাম 'মাত্র' ১২ হাজার টাকা।

ডা. মুখোপাধ্যায়ের পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। ৩০টি আবিষ্কারের পেটেন্টের মালিক এই বাঙালি বিজ্ঞানীর এরকম বহু আবিষ্কারই নজরকাড়া। তবে হঠাৎ ভেন্টিলেটর বানানোর চিন্তা মাথায় এল কেন? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ডা. মুখোপাধ্যায়। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নেমে গিয়েছিল ৮৮ শতাংশে। সেসময়ই ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন অনুভব করেন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেই মাত্র ২০ দিনে বানিয়ে ফেলেছেন এই ভেন্টিলেটর। অনন্য এক নজিরই বটে।

[caption id="attachment_18615" align="alignnone" width="1163"]নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’[/caption]

ডা. রামেন্দ্রবাবুর মতে, মূলত করোনা রোগীদের জন্যই বানানো এই পকেট ভেন্টিলেটর। কোভিড ১৯ ও মিউকরমাইকোসিসে অত্যন্ত কাজে আসবে ছোট্ট এই ভেন্টিলেটর। বর্তমানে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে দেশ তথা রাজ্য। ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো হলেও প্রয়োজনের তুলনায়বেশ কম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই ডা. রামেন্দ্রবাবুর এই আবিষ্কার। দেহে হঠাৎ করে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করলে এই যন্ত্র দিন কয়েক তা সামলে দিতে পারবে বলেই জানিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানীটি। তিনি এও জানান, হাসপাতালে ব্যবহৃত সিপ অ্যাপ (কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার) যন্ত্রের ভাল বিকল্প এই ভেন্টিলেটর।

[caption id="attachment_18616" align="alignnone" width="1163"]নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ নজির গড়লেন বাঙালি বিজ্ঞানী! কোভিড রোগীদের জন্য মাত্র ২০ দিনেই বানালেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’[/caption]

কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র? আসুন জেনে নেওয়া যাক... ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ দুই ভাগে বিভক্ত। ১. পাওয়ার ইউনিট ২.অন্যটি মাউথ পিস যুক্ত ভেন্টিলেটর ইউনিট। যন্ত্রের সুইচ অন হলে আল্ট্রা ভায়োলেট চেম্বার (UV chamber) দিয়ে বাইরের বাতাস বিশুদ্ধ হয়ে সজোরে ফুসফুসে যায়। বাতাসে কোনও জীবাণু থাকলে চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তা মরে যায়। এছাড়াও রোগী যখন নিঃশ্বাস ছাড়েন, তখনও একই কায়দায় আল্ট্রা ভায়োলেটে শুদ্ধ হয়ে যায় ওই বাতাস। ফলে রোগী আশেপাশে থাকা ডাক্তার বা নার্স বা অন্য মানুষজনের কোনও রকম সমস্যা হয় না।