বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলায় মোদী নয়, এবার রাজ্যের টিকাকরণের পর শংসাপত্রে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি!

১০:৩০ পিএম, জুন ৪, ২০২১

বাংলায় মোদী নয়, এবার রাজ্যের টিকাকরণের পর শংসাপত্রে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে জোর কদমে চলছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। এর মধ্যে আজই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রের পাঠানো করোনার টিকা কোভ্যাকসিনের ৮০ হাজার ডোজ।

এদিকে করোনা টিকা নিলে, মিলছে শংসাপত্র। সেখানে থাকছে বয়সের সঙ্গে নামধাম সব কিছুই। এখানেই শেষ নয়, এই শংসাপত্রে থাকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিও। তবে, বাংলার ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা। টিকা নেওয়ার পর শংসাপত্র মিললেও, তাতে মোদী নয়, থাকবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই শংসাপত্র দেবে রাজ্য সরকার।

দেশব্যাপী প্রথমে ৬০ বছর পরে, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন এই বয়সের ব্যক্তিরা। তবে, ১ মে থেকে দেশে শুরু হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। সেই টিকাকরণের খরচ বহন করতে হচ্ছে প্রত্যেক রাজ্যকে। ইতিমধ্যেই টিকা কিনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৮ থেকে ৪৪ বছরের টিকাগ্রহীতারা পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া শংসাপত্র। তাতে লেখা, ‘সজাগ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, ১৫০ কোটি ব্যয়ে টিকা কিনেছে রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ করা হয়েছে ১.৪ কোটি রাজ্যবাসীকে।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই একই দাবিতে মমতা-সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

এদিকে, আজ করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সব জিনিসের উপরই GST বসছে। তাহলে ভ্যাকসিনে কেন নয়?’ তিনি এও অভিযোগ করেন যে, ‘কেন্দ্র বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কিন্তু তা রাজ্যে ব্ল্যাক মার্কেটিং হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত রাজ্যের। বিনামূল্যে পাওয়া ভ্যাকসিন বিক্রি হচ্ছে কীভাবে? কেন কালোবাজারি হচ্ছে, তা দেখতে হবে।’ ভ্যাকসিনেও GST বসানোর পক্ষে দিলীপ ঘোষ সওয়াল করায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, এদিন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন যে, রাজ্য সরকারের কেনা ভ্যাকসিনও বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর দাবি, সরকারি ভ্যাকসিন বিক্রি করা হচ্ছে।