বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ৩ আসনে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে অনুষ্ঠিত হবে তা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, ৩ আসনে ভোটের জন্য রাজ্যে ১৫ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ আসনে মোট ৫২ কোম্পানি মোতায়েন করা হবে। তারই মধ্যে এরিয়া ডোমিনেশনের জন্য আপাতত ১৫ কোম্পানি বাহিনী এসেছে। চলতি মাসেই ৩০ তারিখ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট রয়েছে। সূত্রের খবর, ভোটে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা ওই ১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ-এর ৭ কোম্পানি, বিএসএফ-এর ৮ কোম্পানি, এসএসবি-র ২ কোম্পানি এবং সিএসআইএফ এবং আইটিবিপি-এর ১ কোম্পানির করে বাহিনী রয়েছে।
ভোট হতে এখনও ১৫ দিন বাকি রয়েছে। এদিকে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের থেকে কোনও অংশে কম নয় এই উত্তাপ। কারণ একটাই কেন্দ্রের নাম ভবানীপুর। আগেও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন নেত্রী। বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস এলেও, কিন্তু সামান্য কিছু ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফলাফল নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও, নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে। তাই এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ছেন। এদিকে এই আসনে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিপক্ষ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আর বামেদের তরফে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।
তিন প্রার্থীই ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন। প্রচারও চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে ভোটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা জানাল কমিশন। উল্লেখ্য, সোমবার শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভবানীপুরে ভালোভাবে ভোট হলে জিতবে বিজেপি। যদিও বিজেপির এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত।