শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

অবিশ্বাস্য! ১ কেজির দাম ৮০০ টাকা, সেই ঢ্যাঁড়স চাষ করেই লাখপতি এই ব্যক্তি

০১:২২ পিএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

অবিশ্বাস্য! ১ কেজির দাম ৮০০ টাকা, সেই ঢ্যাঁড়স চাষ করেই লাখপতি এই ব্যক্তি

এক কেজি ঢ্যাঁড়সের দামই নাকি ৮০০ টাকা! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই বাস্তব! আরও অবাক হবেন যখন শুনবেন, এই সবজি ফলানো হচ্ছে খোদ এ দেশের বুকেই। আর তা ফলিয়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামের কৃষক মিসরিলাল রাজপুত। এবং আশ্চর্যের বিষয়, কোনও রাসায়নিক সার নয়, বরং জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফসল ফলিয়েছেন তিনি।

বাজার চলতি ঢ্যাঁড়সের মতো চিরাচরিত সবুজ নয়, বরং এই ঢ্যাঁড়সের গায়ের রঙ লাল। সেই ঢ্যাঁড়সের এক কেজির দামই ৮০০ টাকা। তবে কেন এই লাল ঢ্যাঁড়সের দাম এত বেশি? এই প্রসঙ্গে চাষী মিসরিলাল জানিয়েছেন, "আমরা সাধারণত সবুজ ঢ্যাঁড়স দেখতেই অভ্যস্ত। লাল রঙের ঢ্যাঁড়স প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু সবুজ ঢ্যাঁড়সের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। যাদের হার্টের অসুখ কিংবা রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য অব্যর্থ দাওয়াই এই লাল ঢ্যাঁড়স।" আর ঠিক এই কারণেই নতুন ধরনের এই ঢ্যাঁড়স এতটাই দামী।

জানা গিয়েছে, মিসরিলাল নামক ওই চাষীর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভূপালের খাজুরি কালানে। বাড়ির কাছেই কয়েক বিঘা জমিতে চাষবাস করে দিন চলে তাঁর। সেই চাষের ক্ষেত্রেই অভিনবত্ব আনতে নতুন প্রজাতির লাল ঢ্যাঁড়স চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তা চাষ করার জন্য বারাণসী এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ১ কেজি বীজ কিনে এনেছিলেন মিসরিলাল। জুলাই মাসের প্রথম দিকে সেই বীজ রোপণ করেন তিনি। এরপর ৪০ দিনের মাথায় বীজ থেকে ঢ্যাঁড়স বাড়তে শুরু করে। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, এই ঢ্যাঁড়স চাষ করার জন্য কিন্ত কোনও রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি মিসরিলাল। বরং সমস্ত চাষের কাজ করেছেন জৈব সারে।

https://twitter.com/ANI/status/1434575543782055938?s=20

মিসরিলাল মতে, তিনি যে পদ্ধতিতে চাষ করেছেন তাতে এক একর জমিতে সবচেয়ে কম ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল ঢ্যাঁড়স উৎপাদন করা যাবে। আর সর্বোচ্চ করা যাবে ৭০ থেকে ৮০ কুইন্টাল। সেই ঢ্যাঁড়স বাজারে ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। অর্থাৎ ১ কুইন্টাল লাল ঢ্যাঁড়স চাষ করে তা বিক্রি করতে পারলেই অন্ততপক্ষে লাখের কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন মিসরিলাল। এই মহার্ঘ্য ঢ্যাঁড়স চাষ করেই রাতারাতি তাক লাগালেন মধ্যপ্রদেশের ওই চাষী।