শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

অপহরণের পর বলি! তান্ত্রিকের চরম নৃশংসতার শিকার বিহারের বছর ৮-এর নাবালিকা

১২:৫১ পিএম, আগস্ট ১০, ২০২১

অপহরণের পর বলি! তান্ত্রিকের চরম নৃশংসতার শিকার বিহারের বছর ৮-এর নাবালিকা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২১-এ দাঁড়িয়েও এমন ঘটনা ঘটে! এক তান্ত্রিকের চরম নৃশংসতার শিকার হতে হল বিহারের এক নাবালিকাকে। ঘটনাটি বিহারের মুঙ্গেরের। সেখানের ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে বলি দিল এক তান্ত্রিক। এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে আরও তিনজনের জড়িত থাকার খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত বিহারের মুঙ্গেরের নয়া রামনগর পুলিশ স্টেশনের পাধাম গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ কুমার। তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী হলেও, তাঁদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছিল। এরপরই ওই ব্যক্তির পারভেজ আলম নামে এক তান্ত্রিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই তান্ত্রিক জানায় তাঁকে যে, কোনও শিশুকে বলি দিতে পারলে, আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। শুধু তাই নয়, ওই তান্ত্রিক এও জানায় যে, ওই শিশুর চোখ উপড়ে তা তাবিজের মতো করে ব্যবহার করলে নাকি তাঁদের সন্তান সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ঘটবে।

জানা গিয়েছে, এরপরই আলম দিলীপ কুমারকে জানায়, তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে, ১০ বছরের কোনও নাবালক কিংবা নাবালিকাকে খুঁজে নিয়ে আসতে হবে। আলমের পরামর্শ অনুযায়ী, অভিযুক্ত দিলীপ গত ৪ আগস্ট তনবীর আলম এবং দশরথ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে, তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে। এরপর তারা ওই নাবালিকার চোখ উপড়ে নেয়। তাকে বলিও দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ওই নাবালিকাকে না পেয়ে, তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। এরপর ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হলে, চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ হয় যে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের লোকেরাও একই অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তদন্ত শুরু হলে, আসল ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। এরপরই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নেয় মূল অভিযুক্ত দিলীপ কুমার।

পুলিশকে মূল অভিযুক্ত দিলীপ জানায় যে, তান্ত্রিক আলমের কথা শুনেই, সে এই জঘন্য অপরাধ করেছে। এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত শিশু কন্যাটির পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্যরাও।