বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই দুর্ঘটনা’! বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

০১:২৭ পিএম, জানুয়ারি ১৪, ২০২২

‘আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই দুর্ঘটনা’! বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিকালে জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পথে ময়নাগুড়ির কাছে বিকানের–গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ময়নাগুড়ি-দোমহনির মাঝে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের ১২টি কামরা। রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য।

এদিকে, দুর্ঘটনার পরই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। শুক্রবার সকালেই ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন রেলমন্ত্রী। গোটা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার উল্লেখ করেন, কেন দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, এই দুর্ঘটনার তদন্ত হবে। তবে আপাতত লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।

শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলমন্ত্রী। ট্রলি করে সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশে আচমকা ক্রটি ঘটে। বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। ট্র্যাকের কোনও গণ্ডগোল ছিল না। খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হবে। এ ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি এড়াতেই প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পুরো ঘটনার খোঁজখবর রাখছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’

এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, ‘মনে হচ্ছে কোনও যান্ত্রিক গোলমালের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কেন, কীভাবে তা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। হঠাৎ করে কোনও যন্ত্রাংশ কীভাবে কাজ করা বন্ধ করল বা আদৌ কোনও যন্ত্রাংশ কাজ করা বন্ধ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে তবেই বিস্তারিত জানা সম্ভব। লোকো পাইলটের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন যে, ‘কোচের জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। নতুন অত্যাধুনিক LHB কোচ অধিকাংশ ট্রেনেই চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে কোচের জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হবে। আজই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করে দেখবে। কিছু সময়ের মধ্যেই আধিকারিকরা পৌঁছে যাবেন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। অন্যদিকে, গুরুতর আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা এবং যারা অল্প চোট পেয়েছেন তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।