শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আজ তারা মায়ের আবির্ভাব তিথিতে দেবী পূজিতা হলেন মহালক্ষ্মী রূপে, অসংখ্য ভক্তের সমাগম তারাপীঠে

১১:০০ পিএম, অক্টোবর ১৯, ২০২১

আজ তারা মায়ের আবির্ভাব তিথিতে দেবী পূজিতা হলেন মহালক্ষ্মী রূপে, অসংখ্য ভক্তের সমাগম তারাপীঠে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ শুক্লা চতুর্দশী। আজ তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি। তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে তারাপীঠে দিনভর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। দিনভর এখানেই পালিত হবে যাবতীয় আচার-উপচার। রীতি মেনে, আজ সকালে বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চলে যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য খোলা মন্দির। সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। সেই কারণে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার্চনা।

লোকগাথা অনুযায়ী, আশ্বিনের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে তারা মায়ের আবির্ভাব। কথিত আছে, পাল রাজত্বের সময় স্বপ্নে তারা মায়ের নির্দেশ পেয়ে চতুর্দশীতে শ্মশান থেকে তাঁর মূর্তি এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয়দত্ত সওদাগর। সেই উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো আজও তারাপীঠে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়৷ শ্বেত শিমুল বৃক্ষের তলায় পঞ্চমুন্ডির আসনের নীচে মায়ের শিলামূর্তি আছে। শুক্লা চতুর্দশীর এই তিথিতেই সেই মূর্তি উদ্ধার করে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন জয় দত্ত। এদিন সূর্যোদয়ের আগে, ঘুম ভাঙিয়ে ভোর তিনটে নাগাদ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে মায়ের বিগ্রহ বের করে আনা হয়। বিরাম মঞ্চে তাঁর ছোট বোন মুলুটির মা মৌলিক্ষার মন্দিরের অভিমুখে পশ্চিমদিকে বসানো হয়।

এরপর জীবিত কুণ্ড থেকে জল এনে মাকে স্নান করানো হয় এবং স্নানের পরে পরানো হয় রাজবেশ। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মঙ্গল আরতি পর্ব। আজকের দিনেই তারা মাকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পান ভক্তরা। ভক্তরা মাকে স্পর্শ করে, ভক্তিভরে পুজো দেন।

দিনভর বিরামমঞ্চে থাকার পর, বিকেলে আরতির পর মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূলমন্দিরে। স্নানের পর নতুন রূপে সাজানো হয় দেবীমূর্তিকে। উল্লেখ্য, রীতি অনুযায়ী মায়ের আজ উপোস। এদিন মায়ের মধ্যাহ্ন ভোগ হয় না। দিনভর তাই ফল-মিষ্টিই খান মা। মহাভোগ তোলা থাকে রাতের জন্য। সকালে মঙ্গলারতির পর লুচি, মিষ্টি, সুজি সহযোগে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। রাতে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচরকম ভাজা, মাছ-মাংস দিয়ে করা হয় ভোগ নিবেদন।